ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক রিফুয়েলিংয়ের জায়গা হবে কক্সবাজার

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / 317
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের জায়গা।

বুধবার (১৮ মে) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি প্রথম এ উদ্যোগটি গ্রহণ করি। এজন্য অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই। কিন্তু এর পরবর্তী সময় ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে আমরা দেখেছি তখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮– এর নির্বাচনে সরকারে এসে তখন থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই। আজ সমুদ্রসীমায় আমরা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদ যেন আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সে ব্যবস্থাটি আমরা করতে চাই।’

কক্সবাজারের বাসিন্দাদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সেজন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, যত্রতত্রভাবে কোনো স্থাপনা আপনারা নির্মাণ করবেন না। কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্লান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়ন যেন অপরিকল্পিতভাবে না হয়ে পরিকল্পিতভাবে হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এর পর্যটনের ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত করা হবে। দেশীয় পর্যটকদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি করা হবে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার সেই উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘রিফুয়েলিংয়ের ক্ষেত্রে একেক সময়, একেক দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপর থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর- এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটি জায়গা।’

‘কক্সবাজারে আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি, ফুটবল স্টেডিয়ামও হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো করা হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট যাতে এখানে আয়োজন করা যায়, আমরা সে ব্যবস্থাটিও করছি।’

কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আন্তর্জাতিক রিফুয়েলিংয়ের জায়গা হবে কক্সবাজার

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের জায়গা।

বুধবার (১৮ মে) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি প্রথম এ উদ্যোগটি গ্রহণ করি। এজন্য অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই। কিন্তু এর পরবর্তী সময় ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে আমরা দেখেছি তখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮– এর নির্বাচনে সরকারে এসে তখন থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই। আজ সমুদ্রসীমায় আমরা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদ যেন আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সে ব্যবস্থাটি আমরা করতে চাই।’

কক্সবাজারের বাসিন্দাদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সেজন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, যত্রতত্রভাবে কোনো স্থাপনা আপনারা নির্মাণ করবেন না। কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্লান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়ন যেন অপরিকল্পিতভাবে না হয়ে পরিকল্পিতভাবে হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এর পর্যটনের ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত করা হবে। দেশীয় পর্যটকদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি করা হবে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার সেই উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘রিফুয়েলিংয়ের ক্ষেত্রে একেক সময়, একেক দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপর থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর- এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটি জায়গা।’

‘কক্সবাজারে আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি, ফুটবল স্টেডিয়ামও হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো করা হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট যাতে এখানে আয়োজন করা যায়, আমরা সে ব্যবস্থাটিও করছি।’

কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।