সিঙ্গাপুরে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 160
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আজ দিনের শুরুর দিকে ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। প্রাণদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি আইনি লড়াই চালিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। কিন্তু সিঙ্গাপুরের আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন।

নাগেনথরানের বোন শর্মিলা ধর্মলিঙ্গম এএফপিকে বলেন, আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুর যেভাবে ফাঁসি কার্যকর করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য।

ফাঁসি কার্যকর করার পর ওই ব্যক্তির দেহ শেষকৃত্য করার জন্য মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হবে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা স্থগিত করতে ও প্রাণদণ্ডের আইন বাতিল করতে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে

রিপ্রিভ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা মৃত্যুদণ্ডবিরোধী প্রচারণা চালায়। তারা এক বিবৃতিতে নাগেনথরানের মৃত্যুদণ্ডকে ‘আইনের মর্মান্তিক ব্যর্থতার শিকার’ বলে উল্লেখ করেছে।

অমানবিক

গত বছরের নভেম্বরেই নাগেনথরানের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানসিক অসুস্থ কাউকে ফাঁসি দেওয়ার আইনি বিধান নিয়ে আপিল করায় সেটা বিলম্বিত হয়। নাগেনথরান মাত্র ২১ বছর বয়সে হেরোইনসহ ধরা পড়েন। হেরোইনের ওজন ছিল ৪৩ গ্রাম, যা তিন টেবিল চামচের সমান।

মঙ্গলবার তাঁর মা মরিয়া হয়ে একটি আপিল করলেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। এরপর তাঁর আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাগেনথরানের ফাঁসির বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ হয়েছে নাগেনথরানের দেশ মালয়েশিয়াতেও। নাগেনথরানের ক্ষমা মঞ্জুরের জন্য সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট বরাবর ১ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।

ফাঁসি নিয়ে উত্তেজনার এখানেই শেষ নয়। আগামী শুক্রবারই সিঙ্গাপুরের আরেকজন মাদক পাচারকারীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা।

সিঙ্গাপুরে অপরাধের হার খুবই কম। দেশটির কর্তৃপক্ষের ধারণা, মৃত্যুদণ্ড সাজা তাদের দেশকে এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে সাহায্য করেছে।

সুত্র প্রথম আলো

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিঙ্গাপুরে মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
আজ দিনের শুরুর দিকে ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। প্রাণদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি আইনি লড়াই চালিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। কিন্তু সিঙ্গাপুরের আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন।

নাগেনথরানের বোন শর্মিলা ধর্মলিঙ্গম এএফপিকে বলেন, আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুর যেভাবে ফাঁসি কার্যকর করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য।

ফাঁসি কার্যকর করার পর ওই ব্যক্তির দেহ শেষকৃত্য করার জন্য মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হবে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা স্থগিত করতে ও প্রাণদণ্ডের আইন বাতিল করতে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে

রিপ্রিভ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা মৃত্যুদণ্ডবিরোধী প্রচারণা চালায়। তারা এক বিবৃতিতে নাগেনথরানের মৃত্যুদণ্ডকে ‘আইনের মর্মান্তিক ব্যর্থতার শিকার’ বলে উল্লেখ করেছে।

অমানবিক

গত বছরের নভেম্বরেই নাগেনথরানের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানসিক অসুস্থ কাউকে ফাঁসি দেওয়ার আইনি বিধান নিয়ে আপিল করায় সেটা বিলম্বিত হয়। নাগেনথরান মাত্র ২১ বছর বয়সে হেরোইনসহ ধরা পড়েন। হেরোইনের ওজন ছিল ৪৩ গ্রাম, যা তিন টেবিল চামচের সমান।

মঙ্গলবার তাঁর মা মরিয়া হয়ে একটি আপিল করলেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। এরপর তাঁর আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাগেনথরানের ফাঁসির বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ হয়েছে নাগেনথরানের দেশ মালয়েশিয়াতেও। নাগেনথরানের ক্ষমা মঞ্জুরের জন্য সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট বরাবর ১ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।

ফাঁসি নিয়ে উত্তেজনার এখানেই শেষ নয়। আগামী শুক্রবারই সিঙ্গাপুরের আরেকজন মাদক পাচারকারীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা।

সিঙ্গাপুরে অপরাধের হার খুবই কম। দেশটির কর্তৃপক্ষের ধারণা, মৃত্যুদণ্ড সাজা তাদের দেশকে এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে সাহায্য করেছে।

সুত্র প্রথম আলো