ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হলে দুর্নীতি, অভিবাসন ব্যয় বাড়বে

monir hossain
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / 544
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

 

স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হলে পূর্বের ন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতি আর অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় ১০০০ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন ব্যহত হবে।

আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে “বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের” পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়।
সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বায়রা সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া, সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলা, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, বায়রা গনতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি মুজিবর রহমান, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লিমা বেগম, সচেতন বায়রার সভাপতি মোশারফ হোসেন, স্বাধীনতা রিক্রুটিং এজেন্সী পরিষদের আহবায়ক জামিল হোসাইন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি পুনরায় চালু করার নিমিত্তে বিগত ১৯ ডিসেম্বর(২০২১) নতুন করে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিন্তু বিগত ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়ান মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এমওইউ এর বিষয়বস্তুগুলো পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে কর্মী আমদানীর লক্ষ্য মাননীয প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রীকে লিখিত প্রস্তাব প্রেরন করেন। যতদুর জানা যায়, উভয় দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্রভারিত হয়ে মালয়েশিয়ান মন্ত্রী এহেন গর্হিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রীর চিঠির জবাবে মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কাল বিলম্ব না করে ঠিক তার পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারী চিঠির জবাব পাঠান। চিঠিতে এমওইউ অনুসরন করা অথবা বাংলাদেশের কমপিটিশন এ্যাক্ট অনুযায়ী সকল রিক্রুটিং এজেন্সীর সমঅধিকার এর কথা উল্লেখ করে জেডব্লিওসি মিটিং এর মাধ্যমে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস চুড়ান্ত করা এবং আইএলও সনদ অনুযায়ী ট্রান্সপারেন্ট, ফেয়ার এবং সেইফ মাইগ্রেশনের কথা বলেন। সেজন্য মন্ত্রী মহোদয়কে জানাই আন্তরিকত ধন্যবাদ ও কুতজ্ঞতা। বাংলাদেশ হাইকমিশনও মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সী বাছাই পদ্ধতি অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় করা এবং দুই দেশের অনলাইন পদ্ধতি যুক্ত করার বিষয়ে জেডব্লিওসি মিটিং এর প্রস্তাব দেন। এতে বোঝা যায় মাননীয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রমিক প্রেরনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার গাফিলতি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সী কাজ করলে কর্মী প্রেরনের গতি যেমন কমে যাবে তেমনি সক্ষমতা থাকা সত্বেও শত শত রিক্রুটিং এজেন্সী তাদের ব্যবসার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। জনশক্তি রফতানী সেক্টরে অনিয়ম, অরাজকতা, পারস্পরিক রেষারেষি বৃদ্ধি পাবে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়ায় অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটহিবীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী আমদানীর বিপরীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক আমদানী করলে সেটি হবে স্বাধীন দেশের জন্য অমর্যাদাকর। তাই জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কোন প্রকার সিন্ডিকেট প্রথাকে প্রশ্রয় না দিয়ে অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রির ন্যায় সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি উম্মুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। এখন উভয় দেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখে, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের সীমিত অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করতে যাতে করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সী তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী দেশটিতে সরাসরি কর্মী প্রেরন করতে পারেন এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হলে দুর্নীতি, অভিবাসন ব্যয় বাড়বে

আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

 

স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হলে পূর্বের ন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতি আর অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় ১০০০ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন ব্যহত হবে।

আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে “বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের” পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়।
সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বায়রা সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া, সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলা, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, বায়রা গনতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি মুজিবর রহমান, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লিমা বেগম, সচেতন বায়রার সভাপতি মোশারফ হোসেন, স্বাধীনতা রিক্রুটিং এজেন্সী পরিষদের আহবায়ক জামিল হোসাইন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি পুনরায় চালু করার নিমিত্তে বিগত ১৯ ডিসেম্বর(২০২১) নতুন করে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিন্তু বিগত ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়ান মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এমওইউ এর বিষয়বস্তুগুলো পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে কর্মী আমদানীর লক্ষ্য মাননীয প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রীকে লিখিত প্রস্তাব প্রেরন করেন। যতদুর জানা যায়, উভয় দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা প্রভারিত হয়ে মালয়েশিয়ান মন্ত্রী এহেন গর্হিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তবে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রীর চিঠির জবাবে মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কাল বিলম্ব না করে ঠিক তার পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারী চিঠির জবাব পাঠান। চিঠিতে এমওইউ অনুসরন করা অথবা বাংলাদেশের কমপিটিশন এ্যাক্ট অনুযায়ী সকল রিক্রুটিং এজেন্সীর সমঅধিকার এর কথা উল্লেখ করে জেডব্লিওসি মিটিং এর মাধ্যমে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস চুড়ান্ত করা এবং আইএলও সনদ অনুযায়ী ট্রান্সপারেন্ট, ফেয়ার এবং সেইফ মাইগ্রেশনের কথা বলেন। সেজন্য মন্ত্রী মহোদয়কে জানাই আন্তরিকত ধন্যবাদ ও কুতজ্ঞতা। বাংলাদেশ হাইকমিশনও মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সী বাছাই পদ্ধতি অনলাইন ও স্বয়ংক্রিয় করা এবং দুই দেশের অনলাইন পদ্ধতি যুক্ত করার বিষয়ে জেডব্লিওসি মিটিং এর প্রস্তাব দেন। এতে বোঝা যায় মাননীয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রমিক প্রেরনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার গাফিলতি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সী কাজ করলে কর্মী প্রেরনের গতি যেমন কমে যাবে তেমনি সক্ষমতা থাকা সত্বেও শত শত রিক্রুটিং এজেন্সী তাদের ব্যবসার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। জনশক্তি রফতানী সেক্টরে অনিয়ম, অরাজকতা, পারস্পরিক রেষারেষি বৃদ্ধি পাবে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়ায় অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটহিবীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী আমদানীর বিপরীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক আমদানী করলে সেটি হবে স্বাধীন দেশের জন্য অমর্যাদাকর। তাই জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কোন প্রকার সিন্ডিকেট প্রথাকে প্রশ্রয় না দিয়ে অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রির ন্যায় সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি উম্মুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। এখন উভয় দেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখে, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের সীমিত অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করতে যাতে করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সী তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী দেশটিতে সরাসরি কর্মী প্রেরন করতে পারেন এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।