কোভিডে বিশ্ব যখন অচল, তখনও সৌদি আমাদের কর্মী নিয়েছে : জনশক্তি ব্যবসায়ী মুরাদ
- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২
- / 879
প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:
মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্ব যখন অচল হয়ে গিয়েছিলো, সেই সময়ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র সৌদি আরব সরকার আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিলো। তখনও তারা আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নিয়েছে। ফ্লাইট চালু রেখেছে। ঢাকার এ্যাম্বাসী ভিসাও দিয়েছে। এখন দিন দিন কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে সৌদি আরব থেকে বিদেশগামী কর্মীদের নামে চাহিদাপত্রও বেশী বেশী আসছে।
১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিজ্ঞ জনশক্তি ব্যবসায়ী আল আব্বাস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী মজিবর রহমান মুরাদ সৌদি আরবের শ্রমবাজার সংক্রান্ত কথা বলতে গিয়ে দৈনিক প্রবাসী কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিবেদককে এভাবেই কথাগুলো বলেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১ লাখ ২০ হাজার শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে। এরমধ্যে শুধু সৌদি আরবেই গেছে ৭৮ হাজার ৮’শ ৭০ জন বাংলাদেশী কর্মী।
জনশক্তি ব্যবসায়ী মুরাদ প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, আমার জানা মতে, এই মুহুর্তে সৌদি আরবে লোক পাঠানোর ব্যবসার সাথে যারা সম্পৃত্ত তারা সুন্দর এবং সুশৃংখলভাবেই ব্যবসা করছেন। কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। ঢাকার বারিধারার সৌদি দূতাবাসের সামনে আগের মতো প্রতিনিধিদের তেমন জটও লেগে থাকছে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে আমি যতটুকু জানি, সৌদি আরব থেকে বিদেশগামী কর্মীদের নামে প্রচুর চাহিদাপত্র আসছে। ঢাকার দূতাবাস আরো আন্তরিকভাবে সার্ভিস দিলে আমার মনে হয় দেশটিতে কর্মী যাওয়ার হার আরো বাড়বে।
তার মতে, আগে সৌদি আরবে লোক যাওয়ার পর যেভাবে গৃহকর্মী থেকে শুরু করে সব সেক্টরে কর্মীদের পক্ষ থেকে দেশটির কোম্পানী, গৃহকর্তা বা গৃহকত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতো। এখন সেটি কমেছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করতে গিয়ে এখন সবচেয়ে বেশী সমস্যা হচ্ছি পুলিশ ক্লিয়ায়েন্স নিয়ে। এটি যথাসময়ে না পাওয়ার কারণে বিদেশগামী শ্রমিকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে আমাদেরকে্শ তারা বলছে। এই বিষয়টি যাতে কর্তৃপক্ষ আরেকটু গুরুত্বসহকারে নজর দেন সেব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।