ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব

  • আপডেট সময় : ০৫:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • / 191
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় তিনি নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন।  

মোমেন-শেরম্যানের বৈঠক নিয়ে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, এটি সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে। পররাষ্ট্রসচিব নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে র‌্যাব ও সংস্থাটির কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকা এবং সংস্থার কর্মপ্রণালী সংশোধনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় আংশিক ছাড় দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে বিবেচনার প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে র‌্যাব ইস্যু ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, শ্রম অধিকার, নির্বাচন, রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত, রোহিঙ্গা ইস্যু, কোভিড সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক ও চলমান ইউক্রেন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।

ডেপুটি সেক্রেটারি পররাষ্ট্রসচিবের কাছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে বিশদ ব্যাখা উপস্থাপন করেন। সচিব জানান, সরকার আইনের পুনর্মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্য ত্রুটি চিহ্নিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কাজ করছে।

শ্রম অধিকার নিয়ে শেরম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব জানান, আইএলও ও ইইউর সঙ্গে গৃহীত রোডম্যাপ অনুসারে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব প্রয়োজনে এ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। মোমেন শের‌ম্যানকে আরও জানান, সবকিছু রাতারাতি বাস্তবায়ন করা যায় না। তবে ধাপে ধাপে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

ওই দিন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সুমনা গুহ রায়ের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন পররাষ্ট্রসচিব। এ সময় তিনি র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করা যায় কি-না, তা বিবেচনার জন্য আহ্বান জানান। তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রভাব, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান সুমনা গুহ। পররাষ্ট্রসচিব বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব

আপডেট সময় : ০৫:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় তিনি নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন।  

মোমেন-শেরম্যানের বৈঠক নিয়ে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, এটি সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে। পররাষ্ট্রসচিব নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে র‌্যাব ও সংস্থাটির কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকা এবং সংস্থার কর্মপ্রণালী সংশোধনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় আংশিক ছাড় দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে বিবেচনার প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে র‌্যাব ইস্যু ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, শ্রম অধিকার, নির্বাচন, রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত, রোহিঙ্গা ইস্যু, কোভিড সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক ও চলমান ইউক্রেন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।

ডেপুটি সেক্রেটারি পররাষ্ট্রসচিবের কাছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে বিশদ ব্যাখা উপস্থাপন করেন। সচিব জানান, সরকার আইনের পুনর্মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্য ত্রুটি চিহ্নিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কাজ করছে।

শ্রম অধিকার নিয়ে শেরম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব জানান, আইএলও ও ইইউর সঙ্গে গৃহীত রোডম্যাপ অনুসারে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব প্রয়োজনে এ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। মোমেন শের‌ম্যানকে আরও জানান, সবকিছু রাতারাতি বাস্তবায়ন করা যায় না। তবে ধাপে ধাপে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

ওই দিন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সুমনা গুহ রায়ের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন পররাষ্ট্রসচিব। এ সময় তিনি র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করা যায় কি-না, তা বিবেচনার জন্য আহ্বান জানান। তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রভাব, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান সুমনা গুহ। পররাষ্ট্রসচিব বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন।