মেক্সিকো-বাংলাদেশে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
- / 187
মেক্সিকোর পার্লাামেন্টে মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
মেক্সিকো সময় অনুযায়ি গতকাল সে দেশের পার্লাামেন্টের ডেপুটি কক্ষে রোজালিনা ডোমিং গেজ ফ্লোরেস এমপিকে সভাপতি করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট দুই দেশের সংসদীয় এ মৈত্রী গ্রুপ গঠন করা হয়। এটা বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান হয়।
ডেপুটি রোজালিনা ডোমিং গেজ ফ্লোরেস এমপি তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যেকার সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং সংস্কৃতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, শিল্প, প্রযুক্তি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে এই মহতী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য মেক্সিকোর পার্লামেন্টকে ধন্যবাদ জানান। শীঘ্রই বাংলাদেশের সংসদ থেকে বাংলাদেশ-মেক্সিকো সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও মেক্সিকো বিশ্বের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণকে ধারণ করে। সেই কারণে উভয় দেশের র্নিবাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলা যেতে পারে, যা শক্তিশালী বন্ধুত্বর্পূণ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেএে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরে সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য ও আইনপ্রণেতা মার্থা অ্যালিসিয়া আরেওলা মার্টিনেজ, আইনপ্রণেতা মার্কোস রোসেন্দো মেদিনা ফিলিগ্রানা, আইনপ্রণেতা হোয়ানিতা গেররা মেনা এবং আইনপ্রণেতা সান্তিয়াগো তোরেব্লাঙ্কা এঙ্গেল তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশ এবং মেক্সিকোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন। যার ভিত্তি হবে সংহতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। এ ছাড়া, তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, পর্যটন, জলবায়ু পরির্বতনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিষয় একসাথে কাজ করবার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক ভøাদিমির কার্লোস রুবিও বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং মেক্সিকো-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ হতে সব ধরনের সহযোগিতার প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এরপর ডেপুটি রোজালিনা ডোমিংগেজ ফ্লোরেসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এবং গঠনমূলক আইনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং সংসদের বিশেষ পরিদর্শক বইয়ে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম স্বাক্ষর করেন।