আইসিটি বিভাগের সাথে আমি প্রবাসী লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত

  • আপডেট সময় : ০৭:১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • / 77
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তারাই কিন্তু আজকে এই মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আজ ঢাকার আইসিটি টাওয়ারস্থ বিসিসি মিলোনায়তনে আইসিটি বিভাগের সাথে আমি প্রবাসী লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত তুলে ধরেন আইসিটি ডিভিশনের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি। প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আমি প্রবাসী লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান। আমি প্রবাসীর সাফল্যে অভিভূত প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো বেশি ডাউনলোড এবং এতো চমৎকার ব্যাবহার উপযোগী অ্যাপ এবং আমার মতে ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা ফাস্টেস্ট গ্রোইং অ্যাপ আমি প্রবাসী অ্যাপ। এবং তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। এবং এই উদ্যোগে আমি এখন পর্যন্ত কোনো ত্রুটি খুজে পাই নাই এজন্যও ধন্যবাদ। এছাড়াও, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইসিটি ডিভিশনের সাথে আমি প্রবাসীর মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেস, রেমিট্যান্স সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য আরও পরিষেবা সংযোজন করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে আইসিটি বিভাগ আমি প্রবাসীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইমরান আহমদ, এমপি। মাননীয় মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রবাসীদের জন্য দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। আর প্রবাসীদের সকল সুবিধা একই প্লাটফর্ম আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছে বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা। মাননীয় মন্ত্রী তার বক্তব্যে সেবা প্রদান সহজীকরণের ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে আমি প্রবাসী লিমিটেড একটি উদাহরণ বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন । ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোন ব্যয় ধরণের হয়নি। এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রী জনবান্ধব সেবা প্রদানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান পদ্ধতিটিকে আরও সহজ করেছে। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি নম্বর ‘সুরক্ষা’য় প্রেরণ করে অভিবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রস্তাব রাখলে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে মহামারীর মাঝে আমি প্রবাসী দশ লক্ষেরও বেশি নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এবং এতেও সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়নি। আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি-র সভাপতিত্বে আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনাব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব, আইসিটি বিভাগ। জনাব মোঃ আতাউর রহমান খান, যুগ্ম সচিব, আইসিটি ডিভিশন এবং জনাব নামির আহমেদ নুরি, কো-ফাউন্ডার ও সিইও, আমি প্রবাসী লিমিটেড নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আমি প্রবাসী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও জনাব নামির আহমেদ নুরি তার স্বাগত বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত বিশাল ডেটা কিভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তার সবিস্তারিত তথ্য তার আলোচনায় উঠে আসে। উল্লেখ্য যে, বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম। অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে তারুণ্যর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলা দেশে আমি প্রবাসী লিমিটেড আরও অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আইসিটি বিভাগের সাথে আমি প্রবাসী লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত

আপডেট সময় : ০৭:১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তারাই কিন্তু আজকে এই মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আজ ঢাকার আইসিটি টাওয়ারস্থ বিসিসি মিলোনায়তনে আইসিটি বিভাগের সাথে আমি প্রবাসী লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত তুলে ধরেন আইসিটি ডিভিশনের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি। প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আমি প্রবাসী লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান। আমি প্রবাসীর সাফল্যে অভিভূত প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো বেশি ডাউনলোড এবং এতো চমৎকার ব্যাবহার উপযোগী অ্যাপ এবং আমার মতে ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা ফাস্টেস্ট গ্রোইং অ্যাপ আমি প্রবাসী অ্যাপ। এবং তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। এবং এই উদ্যোগে আমি এখন পর্যন্ত কোনো ত্রুটি খুজে পাই নাই এজন্যও ধন্যবাদ। এছাড়াও, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইসিটি ডিভিশনের সাথে আমি প্রবাসীর মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেস, রেমিট্যান্স সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য আরও পরিষেবা সংযোজন করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে আইসিটি বিভাগ আমি প্রবাসীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইমরান আহমদ, এমপি। মাননীয় মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রবাসীদের জন্য দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। আর প্রবাসীদের সকল সুবিধা একই প্লাটফর্ম আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছে বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা। মাননীয় মন্ত্রী তার বক্তব্যে সেবা প্রদান সহজীকরণের ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে আমি প্রবাসী লিমিটেড একটি উদাহরণ বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন । ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোন ব্যয় ধরণের হয়নি। এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রী জনবান্ধব সেবা প্রদানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান পদ্ধতিটিকে আরও সহজ করেছে। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি নম্বর ‘সুরক্ষা’য় প্রেরণ করে অভিবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রস্তাব রাখলে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে মহামারীর মাঝে আমি প্রবাসী দশ লক্ষেরও বেশি নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এবং এতেও সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়নি। আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি-র সভাপতিত্বে আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনাব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব, আইসিটি বিভাগ। জনাব মোঃ আতাউর রহমান খান, যুগ্ম সচিব, আইসিটি ডিভিশন এবং জনাব নামির আহমেদ নুরি, কো-ফাউন্ডার ও সিইও, আমি প্রবাসী লিমিটেড নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আমি প্রবাসী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও জনাব নামির আহমেদ নুরি তার স্বাগত বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত বিশাল ডেটা কিভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তার সবিস্তারিত তথ্য তার আলোচনায় উঠে আসে। উল্লেখ্য যে, বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম। অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে তারুণ্যর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলা দেশে আমি প্রবাসী লিমিটেড আরও অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।