২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪ টি একাই নিয়ন্ত্রণ করে স্বপন : নুর আলী

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / 309
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ২৫ সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপনের এক পরিবারের ৪টি লাইসেন্স রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দাতো শ্রী আমিন ও বাংলাদেশের রুহুল আমিন স্বপন সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ১৫টি অযোগ্য, অনভিজ্ঞ এবং নতুন এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে কর্তৃপক্ষের কী স্বার্থ? কেন রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করছে এমনও প্রশ্ন সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট আয়োজিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের পরও মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বিলম্ব হওয়ার কারণে, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘জিরো কস্ট, মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের জন্য অতি সত্বর উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে রুহুল আমিন স্বপনকে অনৈতিক, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের মাধ্যমে ২৫টি এজেন্সিকে তালিকাভুক্ত করার অপরাধে কঠোর শাস্তিরও দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দেশের বৈধ ১৫ শ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে ২৫টি এজেন্সিকে কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কোন পদ্ধতি মানা হয়েছে তাও জানতে চায় বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মাহাজোট। একই সঙ্গে ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সবার জন্য উন্মুক্তেরও দাবি জানান তারা। পাশাপাশি যারা এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, অনিয়মের মাধ্যমে তাদের তালিকা দিয়েছে তাদেরও শাস্তির দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের হোতা রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১২৯৮, সরকার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৭১৫, আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৩২৬ ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, যার লাইসেন্স নং-৫৪৯। এছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এক ব্যক্তি কোন ক্ষমতার বলে, কাদের সহযোগিতায় একাই ৪টি এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত করেছে এ নিয়েও প্রশ্ন খাত সংশ্লিষ্টদের। এর আগেও সিন্ডিকেট করে রুহুল আমিন স্বপন দেশের সাধারণ মানুষদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে নি:স্ব করেছে। এবারও নিজের হাতেই তালিকা তৈরি করে মালয়েশিয়ান মানবসম্পদমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায়।No description available.

টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের বাধার মুখে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে না। রুহুল আমিন স্বপনের নিজেরই চারটি লাইসেন্স। চারটি লাইসেন্স একজনের। এটা কী করে হয়? তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীনের ছেলে রাফিত মালয়েশিয়ার কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল রিসোর্সের লাইসেন্স তাদের। এই কোম্পানির পরিচালক তার ছেলে। এসব কারণে প্রবাসী সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩ সোর্সকান্ট্রি থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে। ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠালে অভিবাসন ব্যয় বহুগুণ বাড়বে। এতে দেশের সাধারণ কর্মীরা সর্বস্বান্ত হবে এবং দেশটি শ্রমবাজার আবার বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, কথিত ২৫ পরিহার করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সম্ভব নয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানকে ২৫ সিন্ডিকেট নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া সঠিক হয়নি। মালয়েশিয়ায় দশ লাখ অভিবাসী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হলে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এক বছরেই দশ লাখ কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ব্যতীত অন্যান্য ১৩টি সোর্সকান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিপরীতে শুধু বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ অমর্যাদাকর। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ হলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ, ন্যায্য, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের ব্যত্তয় ঘটবে। মালয়েশিয়ায় ৫শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নীতির প্রয়োগ অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী আলী বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষষণ করে বলেন, রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করার মধ্যে দিয়ে সরকারের স্বার্থ কোথায়? ২৫ সিন্ডিকেটের মধ্যে রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান এবং এই ২৫ টি এজেন্সির ১৪টি এজেন্সি তিনি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমান পরিস্থিতিত রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি অভিজ্ঞ এজেন্সিগুলোকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলেও মনে করি।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, গত ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম এই মিটিংয়ের মাধ্যমে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে।

কিন্তু সভায় উপস্থিত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আপনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের এক পর্যায়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যার প্রশ্ন উত্থাপিত হলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন গত ১৯ ডিসেম্বর সই করা সমঝোতার স্মারক অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নির্ধারণ ও নির্বাচন কর্মীগ্রহণকারী দেশের ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। মন্ত্রী দেশে ফেরত যাওয়ার পরে মালয়েশিয়ার ক্যাবিনেটের মাধ্যমে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় যে ২৫টি লাইসেন্সের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাদের বাইরে অন্য কোনও এজেন্সির পক্ষে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়। যার ফলে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ অনিশ্চিত হওয়ায় আমরা সকল রিক্রুটিং এজেন্সি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা সকল রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর এই ধরনের অসত্য বক্তব্য দেওয়ার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা আশা করি মালয়েশিয়ার বিচক্ষণ মানবসম্পদ মন্ত্রী ভবিষ্যতে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

শামীম আহমেদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিংগাপুর, জাপান এবং হংকং এর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কিন্তু ওই তিন দেশে কর্মী প্রেরণ করার জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ওই নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে পারেন। কিন্তু তিনটি শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের হার অত্যন্ত কম এবং অনেক ব্যয়বহুল বিধায় অধিকাংশ এজেন্সি এসব দেশে কর্মী পাঠাতে অনাগ্রহী। দুঃখের বিষয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ওই তিনটি দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি গত ১৪ বছরে প্রায় ৯৮ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে সক্ষম হয়নি। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ২০০৬-২০০৮ সাল এর কর্মী প্রেরণের যে অনিয়ম হয়ে ছিল সেই অনিয়মের দায় ভার বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। কোন দেশে কর্মী পাঠাতে গেলে সেই দেশের সংশ্লিষ্ট অথরিটির অনুমোদন ব্যতীত বেশি কর্মী প্রেরণ কোনো সুযোগ নেই। ২০০৬-২০০৮ সালে অতিরিক্ত কর্মী প্রেরণের দায়ভার আইনগতভাবে সম্পূর্ণ মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট অথরিটির উপরে বর্তায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী ওই কারন দেখিয়ে আমাদের দেশ থেকে ২৫টি লাইসেন্সের মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। এর ফলে আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজারে ৯৮ শতাংশ লাইসেন্স এর কর্মী পাঠানোর দরজা বন্ধ হয়ে যায় ।

এসময় সবার জন্য মালয়েশিয়ার বাজারে কর্মী পাঠানোর আহ্বান জানায় বায়রা নেতারা। তারা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ফিতেই তারা কর্মী পাঠাবেন।

বায়রার সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭-০৮ সালে শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে যে কষ্ট করেছে সে জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার মালয়েশিয়ার। সেখানে কোনো দায় আমাদের নয়। মালয়েশিয়া এপ্রুভাল দিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে সে অনুযায়ী যথাযথ নিয়মমাফিক শ্রমিকরা গিয়েছেন। সেখানে কোনো অনিয়ম থাকলে সে দায় আমাদের ঘাড়ে আসতে পারে না। এ ছাড়া বর্তমান ডিজিটাল যুগে সে ধরনের অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

এ ছাড়া হংকং এবং সিঙ্গাপুরের ব্যাপারে কোনো সিন্ডিকেশন নেই। এমনকি সৌদি আরবসহ কোনো দেশে সিন্ডিকেশন নেই। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে একহাজার এজেন্সি প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ কর্মী পাঠাচ্ছে। অথচ কয়েক দিন পরই মালয়েশিয়াতে ১০ লাখ কর্মী যাওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ২৫ এজেন্সি কীভাবে ১০ লাখ কর্মী মালয়েশিয়াতে পাঠাবে?, যত বেশিসংখ্যক এজেন্সির প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকবে ততো খরচ কম হবে। আমরা সরকার নির্ধারিত ব্যয়ে কর্মী পাঠাতে চাই।

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, বায়রার বার্ষিক সাধারণসভায় সব নেতারা ৬ থেকে ৭শ রিক্রুটিং এজেন্সির সামনে শপথ করেছিলেন যে, আর কখনো কোনো দেশে সিন্ডিকেট হবে না। সেদিন রুহুল আমিন স্বপন শপথ করেছেন এবং সবাইকে শপথ করিয়েছেন। অথচ সে-ই আবার সিন্ডিকেট করছেন। তাকে অনুরোধ করব, সব এজেন্সিকে সমান অধিকার, কম খরচে, যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে পারে এ দিকে ফিরে আসবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ‘মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট এমপ্লয়ার্স’-এর মহাসচিব সুকুমার নায়ার। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ সিন্ডিকেটের বিষয়টি এখন মালয়েশিয়ায়ও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই সিন্ডিকেট প্রত্যাখ্যান করে আসছি।’ সুকুমার নায়ার আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার যে ২৫ এজেন্সি বাছাই করেছে, তাদের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

সুত্র : আমাদের সময়

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪ টি একাই নিয়ন্ত্রণ করে স্বপন : নুর আলী

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ২৫ সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপনের এক পরিবারের ৪টি লাইসেন্স রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দাতো শ্রী আমিন ও বাংলাদেশের রুহুল আমিন স্বপন সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ১৫টি অযোগ্য, অনভিজ্ঞ এবং নতুন এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে কর্তৃপক্ষের কী স্বার্থ? কেন রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করছে এমনও প্রশ্ন সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট আয়োজিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের পরও মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বিলম্ব হওয়ার কারণে, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘জিরো কস্ট, মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের জন্য অতি সত্বর উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে রুহুল আমিন স্বপনকে অনৈতিক, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের মাধ্যমে ২৫টি এজেন্সিকে তালিকাভুক্ত করার অপরাধে কঠোর শাস্তিরও দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দেশের বৈধ ১৫ শ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে ২৫টি এজেন্সিকে কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কোন পদ্ধতি মানা হয়েছে তাও জানতে চায় বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মাহাজোট। একই সঙ্গে ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সবার জন্য উন্মুক্তেরও দাবি জানান তারা। পাশাপাশি যারা এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, অনিয়মের মাধ্যমে তাদের তালিকা দিয়েছে তাদেরও শাস্তির দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের হোতা রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১২৯৮, সরকার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৭১৫, আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৩২৬ ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, যার লাইসেন্স নং-৫৪৯। এছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এক ব্যক্তি কোন ক্ষমতার বলে, কাদের সহযোগিতায় একাই ৪টি এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত করেছে এ নিয়েও প্রশ্ন খাত সংশ্লিষ্টদের। এর আগেও সিন্ডিকেট করে রুহুল আমিন স্বপন দেশের সাধারণ মানুষদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে নি:স্ব করেছে। এবারও নিজের হাতেই তালিকা তৈরি করে মালয়েশিয়ান মানবসম্পদমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায়।No description available.

টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের বাধার মুখে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে না। রুহুল আমিন স্বপনের নিজেরই চারটি লাইসেন্স। চারটি লাইসেন্স একজনের। এটা কী করে হয়? তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীনের ছেলে রাফিত মালয়েশিয়ার কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল রিসোর্সের লাইসেন্স তাদের। এই কোম্পানির পরিচালক তার ছেলে। এসব কারণে প্রবাসী সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩ সোর্সকান্ট্রি থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে। ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠালে অভিবাসন ব্যয় বহুগুণ বাড়বে। এতে দেশের সাধারণ কর্মীরা সর্বস্বান্ত হবে এবং দেশটি শ্রমবাজার আবার বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, কথিত ২৫ পরিহার করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সম্ভব নয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানকে ২৫ সিন্ডিকেট নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া সঠিক হয়নি। মালয়েশিয়ায় দশ লাখ অভিবাসী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হলে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এক বছরেই দশ লাখ কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ব্যতীত অন্যান্য ১৩টি সোর্সকান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিপরীতে শুধু বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ অমর্যাদাকর। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ হলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ, ন্যায্য, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের ব্যত্তয় ঘটবে। মালয়েশিয়ায় ৫শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নীতির প্রয়োগ অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী আলী বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষষণ করে বলেন, রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করার মধ্যে দিয়ে সরকারের স্বার্থ কোথায়? ২৫ সিন্ডিকেটের মধ্যে রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান এবং এই ২৫ টি এজেন্সির ১৪টি এজেন্সি তিনি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমান পরিস্থিতিত রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি অভিজ্ঞ এজেন্সিগুলোকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলেও মনে করি।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, গত ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম এই মিটিংয়ের মাধ্যমে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে।

কিন্তু সভায় উপস্থিত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আপনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের এক পর্যায়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যার প্রশ্ন উত্থাপিত হলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন গত ১৯ ডিসেম্বর সই করা সমঝোতার স্মারক অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নির্ধারণ ও নির্বাচন কর্মীগ্রহণকারী দেশের ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। মন্ত্রী দেশে ফেরত যাওয়ার পরে মালয়েশিয়ার ক্যাবিনেটের মাধ্যমে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় যে ২৫টি লাইসেন্সের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাদের বাইরে অন্য কোনও এজেন্সির পক্ষে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়। যার ফলে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ অনিশ্চিত হওয়ায় আমরা সকল রিক্রুটিং এজেন্সি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা সকল রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর এই ধরনের অসত্য বক্তব্য দেওয়ার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা আশা করি মালয়েশিয়ার বিচক্ষণ মানবসম্পদ মন্ত্রী ভবিষ্যতে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

শামীম আহমেদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিংগাপুর, জাপান এবং হংকং এর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কিন্তু ওই তিন দেশে কর্মী প্রেরণ করার জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ওই নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে পারেন। কিন্তু তিনটি শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের হার অত্যন্ত কম এবং অনেক ব্যয়বহুল বিধায় অধিকাংশ এজেন্সি এসব দেশে কর্মী পাঠাতে অনাগ্রহী। দুঃখের বিষয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ওই তিনটি দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি গত ১৪ বছরে প্রায় ৯৮ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে সক্ষম হয়নি। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ২০০৬-২০০৮ সাল এর কর্মী প্রেরণের যে অনিয়ম হয়ে ছিল সেই অনিয়মের দায় ভার বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। কোন দেশে কর্মী পাঠাতে গেলে সেই দেশের সংশ্লিষ্ট অথরিটির অনুমোদন ব্যতীত বেশি কর্মী প্রেরণ কোনো সুযোগ নেই। ২০০৬-২০০৮ সালে অতিরিক্ত কর্মী প্রেরণের দায়ভার আইনগতভাবে সম্পূর্ণ মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট অথরিটির উপরে বর্তায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী ওই কারন দেখিয়ে আমাদের দেশ থেকে ২৫টি লাইসেন্সের মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। এর ফলে আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজারে ৯৮ শতাংশ লাইসেন্স এর কর্মী পাঠানোর দরজা বন্ধ হয়ে যায় ।

এসময় সবার জন্য মালয়েশিয়ার বাজারে কর্মী পাঠানোর আহ্বান জানায় বায়রা নেতারা। তারা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ফিতেই তারা কর্মী পাঠাবেন।

বায়রার সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭-০৮ সালে শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে যে কষ্ট করেছে সে জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার মালয়েশিয়ার। সেখানে কোনো দায় আমাদের নয়। মালয়েশিয়া এপ্রুভাল দিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে সে অনুযায়ী যথাযথ নিয়মমাফিক শ্রমিকরা গিয়েছেন। সেখানে কোনো অনিয়ম থাকলে সে দায় আমাদের ঘাড়ে আসতে পারে না। এ ছাড়া বর্তমান ডিজিটাল যুগে সে ধরনের অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

এ ছাড়া হংকং এবং সিঙ্গাপুরের ব্যাপারে কোনো সিন্ডিকেশন নেই। এমনকি সৌদি আরবসহ কোনো দেশে সিন্ডিকেশন নেই। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে একহাজার এজেন্সি প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ কর্মী পাঠাচ্ছে। অথচ কয়েক দিন পরই মালয়েশিয়াতে ১০ লাখ কর্মী যাওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ২৫ এজেন্সি কীভাবে ১০ লাখ কর্মী মালয়েশিয়াতে পাঠাবে?, যত বেশিসংখ্যক এজেন্সির প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকবে ততো খরচ কম হবে। আমরা সরকার নির্ধারিত ব্যয়ে কর্মী পাঠাতে চাই।

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, বায়রার বার্ষিক সাধারণসভায় সব নেতারা ৬ থেকে ৭শ রিক্রুটিং এজেন্সির সামনে শপথ করেছিলেন যে, আর কখনো কোনো দেশে সিন্ডিকেট হবে না। সেদিন রুহুল আমিন স্বপন শপথ করেছেন এবং সবাইকে শপথ করিয়েছেন। অথচ সে-ই আবার সিন্ডিকেট করছেন। তাকে অনুরোধ করব, সব এজেন্সিকে সমান অধিকার, কম খরচে, যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে পারে এ দিকে ফিরে আসবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ‘মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট এমপ্লয়ার্স’-এর মহাসচিব সুকুমার নায়ার। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ সিন্ডিকেটের বিষয়টি এখন মালয়েশিয়ায়ও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই সিন্ডিকেট প্রত্যাখ্যান করে আসছি।’ সুকুমার নায়ার আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার যে ২৫ এজেন্সি বাছাই করেছে, তাদের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

সুত্র : আমাদের সময়