মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ার ডাক

  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / 338
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:

আমরা সবাই ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সীর সম্বন্বয়ে গড়ে তোলা তথাকথিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। এদের দৌরাতেœর কারণেই ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা ¯স্বারক স্বাক্ষর হওয়ার ৫ মাস পরও মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়নি। ১৩টি সোর্স কান্ট্রির মতোই বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরনে সিন্ডিকেটে যারা বাধা হয়ে দাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রার সাবেক নেতৃবৃন্দরা।

আজ (১০ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট” এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচী থেকে এসব দাবীর কথা জানায় তারা।

মহাজোটের পক্ষে বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানসহ বায়রার একটি প্রতিনিধি দল ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর কাছে ¯œারকলিপি দিতে যান।

মানববন্ধনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলা হয়, আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ২০১৬ সালে ১০টি বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানী শুরু করে। ২০১৮ সালে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এরপর মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী আমদানী বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মালয়েশিয়াগামী কর্মী, ব্যবসায়ী সর্বোপরি আমাদের দেশ। তাছাড়া ১০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর কারণে অভিবাসন ব্যয়, মেডিকেলসহ অন্যান্য বিষয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন শ্রমিকরা। সেটিও কারো অজানা নয়। শুধু তাই নয়, প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকায় দেশটিতে কর্মী প্রেরনের কথা থাকলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার অধিক টাকা কর্মীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আমেরিকা, ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ মালয়েশিয়ার ঐ সমস্ত ফ্যাক্টরী থেকে তাদের প্রস্তুতকৃত প্রডাক্ট ক্রয়ের অর্ডার বাতিল করে দেয় এবং তাদের নিয়োগকৃত সকল কর্মীদেরকে ১৫-২০ হাজার রিংগিট করে ফেরত দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করে। যা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ওই সময় প্রকাশিত হয়েছিলো। এখানে বলা দরকার, আমেরিকার দ্য ট্রাফিকিং ইন পারসন (টিআইপি) নির্ধারিত সূচক অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অবস্থান বর্তমানে তৃতীয়। যা র‌্যাংকিংয়ে সর্বনি¤œ অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সুচকে অবস্থান করছে। এঅবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারী (২০২২) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত ২৫টি লাইসেন্সের মাধ্যমে পূর্বের ন্যায় দেশটিতে কর্মী পাঠানো হলে টিআইপি র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের সূচক নিন্মগামী হওয়ার আশংকা রয়েছে।

বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আমরা সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিকরা অঙ্গীকার করছি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় কর্তৃক নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরন করবো। এব্যাপারে কোন ব্যতয় বা অনিয়ম হলে মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট এজেন্সীগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ার ডাক

আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:

আমরা সবাই ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সীর সম্বন্বয়ে গড়ে তোলা তথাকথিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। এদের দৌরাতেœর কারণেই ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা ¯স্বারক স্বাক্ষর হওয়ার ৫ মাস পরও মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়নি। ১৩টি সোর্স কান্ট্রির মতোই বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরনে সিন্ডিকেটে যারা বাধা হয়ে দাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রার সাবেক নেতৃবৃন্দরা।

আজ (১০ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট” এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচী থেকে এসব দাবীর কথা জানায় তারা।

মহাজোটের পক্ষে বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানসহ বায়রার একটি প্রতিনিধি দল ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর কাছে ¯œারকলিপি দিতে যান।

মানববন্ধনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলা হয়, আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ২০১৬ সালে ১০টি বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানী শুরু করে। ২০১৮ সালে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এরপর মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী আমদানী বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মালয়েশিয়াগামী কর্মী, ব্যবসায়ী সর্বোপরি আমাদের দেশ। তাছাড়া ১০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর কারণে অভিবাসন ব্যয়, মেডিকেলসহ অন্যান্য বিষয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন শ্রমিকরা। সেটিও কারো অজানা নয়। শুধু তাই নয়, প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকায় দেশটিতে কর্মী প্রেরনের কথা থাকলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার অধিক টাকা কর্মীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আমেরিকা, ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ মালয়েশিয়ার ঐ সমস্ত ফ্যাক্টরী থেকে তাদের প্রস্তুতকৃত প্রডাক্ট ক্রয়ের অর্ডার বাতিল করে দেয় এবং তাদের নিয়োগকৃত সকল কর্মীদেরকে ১৫-২০ হাজার রিংগিট করে ফেরত দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করে। যা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ওই সময় প্রকাশিত হয়েছিলো। এখানে বলা দরকার, আমেরিকার দ্য ট্রাফিকিং ইন পারসন (টিআইপি) নির্ধারিত সূচক অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অবস্থান বর্তমানে তৃতীয়। যা র‌্যাংকিংয়ে সর্বনি¤œ অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সুচকে অবস্থান করছে। এঅবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারী (২০২২) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত ২৫টি লাইসেন্সের মাধ্যমে পূর্বের ন্যায় দেশটিতে কর্মী পাঠানো হলে টিআইপি র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের সূচক নিন্মগামী হওয়ার আশংকা রয়েছে।

বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আমরা সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিকরা অঙ্গীকার করছি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় কর্তৃক নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরন করবো। এব্যাপারে কোন ব্যতয় বা অনিয়ম হলে মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট এজেন্সীগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে।