৩ বছ‌রে সা‌ড়ে চার হাজার ভিসা দিয়েছে রোমা‌নিয়া

  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / 172
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপের দেশ রোমানিয়া গত চার মা‌সে বাংলা‌দে‌শি‌দের জন‌্য এক হাজার ১৮০টি ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে। আর গত তিন বছ‌রে মোট ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে চার হাজার ৬২৯‌টি।

সোমবার এক ক্ষু‌দেবার্তায় এসব তথ‌্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন। তিনি জানান, দি‌ল্লির রোমা‌নিয়া দূতাবাস ২০২০ সা‌লে বাংলা‌দে‌শি‌দের জন‌্য ৫৮০‌টি ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌। গত বছর ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে ২ হাজার ৮৬৯‌টি। আর এ বছ‌রের এপ্রিলের ১৬ তা‌রিখ পর্যন্ত ইস‌্যু ক‌রে‌ছে এক হাজার ১৮০‌টি।

গত বছ‌রের অক্টোবরে রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোগদান অরেস্কুর স‌ঙ্গে বৈঠ‌কের প‌রি‌প্রেক্ষি‌তে বাংলা‌দে‌শিদের নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগের জন্য রোমা‌নিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রেন ড. মো‌মেন।

এদিকে : যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ পেতে বাংলাদেশ আরও বেশি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে মার্কিন বিনিয়োগ আশা করে। বর্তমানে শুধুমাত্র জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশ। আমাদের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ এখনো এ খাতে পিছিয়ে রয়েছে।

সোমবার (৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ২৭ জন মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান সূর্য’ হিসেবে অভিহিত করে মোমেন বলেন, এখন আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র অর্থনীতির মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অনেক সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ কামনা করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ এ বিশাল বিনিয়োগ থেকে অল্প পরিমাণ পাচ্ছে। ডিজিটাল, জ্বালানি, আর্থিক সেবা, বীমা ও কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতারা এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। তারা ১১ মে পর্যন্ত এখানে থাকবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন শেভরনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) জে আর প্রায়র।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ লাভ করছি। আমরা বরং অন্যান্য দেশের জন্য জিএসপি সুবিধা হ্রাস করতে চাই, যারা বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী।

২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। বৈঠকে মোমেন প্রতিনিধিদলকে জানান যে আইসিটি সম্পর্কিত ৬ দশমিক ৫ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার কর্মী এখানে প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল এখানে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রোববার বাংলাদেশ-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে জানান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩ বছ‌রে সা‌ড়ে চার হাজার ভিসা দিয়েছে রোমা‌নিয়া

আপডেট সময় : ০৪:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

ইউরোপের দেশ রোমানিয়া গত চার মা‌সে বাংলা‌দে‌শি‌দের জন‌্য এক হাজার ১৮০টি ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে। আর গত তিন বছ‌রে মোট ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে চার হাজার ৬২৯‌টি।

সোমবার এক ক্ষু‌দেবার্তায় এসব তথ‌্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন। তিনি জানান, দি‌ল্লির রোমা‌নিয়া দূতাবাস ২০২০ সা‌লে বাংলা‌দে‌শি‌দের জন‌্য ৫৮০‌টি ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌। গত বছর ভিসা ইস‌্যু ক‌রে‌ছে ২ হাজার ৮৬৯‌টি। আর এ বছ‌রের এপ্রিলের ১৬ তা‌রিখ পর্যন্ত ইস‌্যু ক‌রে‌ছে এক হাজার ১৮০‌টি।

গত বছ‌রের অক্টোবরে রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোগদান অরেস্কুর স‌ঙ্গে বৈঠ‌কের প‌রি‌প্রেক্ষি‌তে বাংলা‌দে‌শিদের নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগের জন্য রোমা‌নিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রেন ড. মো‌মেন।

এদিকে : যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ পেতে বাংলাদেশ আরও বেশি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে মার্কিন বিনিয়োগ আশা করে। বর্তমানে শুধুমাত্র জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশ। আমাদের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ এখনো এ খাতে পিছিয়ে রয়েছে।

সোমবার (৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ২৭ জন মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান সূর্য’ হিসেবে অভিহিত করে মোমেন বলেন, এখন আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র অর্থনীতির মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অনেক সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ কামনা করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ এ বিশাল বিনিয়োগ থেকে অল্প পরিমাণ পাচ্ছে। ডিজিটাল, জ্বালানি, আর্থিক সেবা, বীমা ও কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতারা এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। তারা ১১ মে পর্যন্ত এখানে থাকবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন শেভরনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) জে আর প্রায়র।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ লাভ করছি। আমরা বরং অন্যান্য দেশের জন্য জিএসপি সুবিধা হ্রাস করতে চাই, যারা বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী।

২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। বৈঠকে মোমেন প্রতিনিধিদলকে জানান যে আইসিটি সম্পর্কিত ৬ দশমিক ৫ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার কর্মী এখানে প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল এখানে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রোববার বাংলাদেশ-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে জানান।