ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী কর্মীদের সচেতনতা ও দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • / 1334
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, নারী কর্মীদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সচেতনতা ও দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  শিক্ষা আর দক্ষতা থাকলে নারী কর্মীদের সচেতনতা কিংবা বুঝতে পারার ক্ষমতা শতগুণ বেড়ে যায়। আর এখান থেকেই শক্তি চলে আসে। তখন কিন্তু কেউ সুযোগ নিতে পারে না। গৃহকর্মী হিসেবে পাঠাতে হলে শিক্ষিত নারীদের পাঠানো উচিত।
আজ রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বিজয়’৭১ হলে নারী অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা ২২টি সংগঠনের জোটের ‘নারী অভিবাসীদের সম্মিলিত কণ্ঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, জোটের চেয়ার ইশরাত আমীন, কো-চেয়ার ফওজিয়া খন্দকার, ড. রুবিনা ইয়াসমিন এবং সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
জোটের অন্তর্ভুক্ত ২২টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা কানাডার গ্লোবাল এফেয়ার্সের অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেন্টার ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন স্টাডিজ জোটের সেক্রেটারিয়েট হিসেবে কাজ করবে।
ইমরান আহমদ বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে নারীদের সম্পৃক্ততা দেশের জন্য এক ধরনের গেম চেঞ্জার বিষয়। বিদেশে কর্মী হিসেবে নারীদের অভিবাসন গার্মেন্টস থেকেও বড় গেম চেঞ্জিং।  ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমাদের সঙ্গে আরও অন্তত ২০ বছর থাকবে। আমরা যদি এই সময়ে আমাদের নারীদেরকে বেকার রাখি, ২০ বছর পর কিন্তু তারা কোনো কাজ করতে পারবে না। বিদেশ যাওয়া একজন নারীর একান্ত ব্যক্তিগত চয়েস।
মন্ত্রী বলেন, নিরক্ষর নারী যিনি কোনোদিন গ্রামের বাইরে যাননি, তাকে যখন প্লেনে বসানো হয় এবং বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়, এদের চেয়ে অসহায় মানুষ আর কেউ হতে পারে না। আমাদের এখানে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। যত দ্রুত আমরা ভূমিকা রাখতে পারবো ততো তাড়াতাড়ি যেসব নির্যাতনের খবর আমরা পাই তা কমে আসবে। বিদেশগমনেচ্ছু নারীদের জানাতে হবে কোথায় গেলে কি পাওয়া যাবে। আমাদের জেলা জনশক্তি অফিস ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রায় সব জেলায় আছে। সেখানে আমরা পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করি। সচেতনতার জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। কিন্তু সম্পূর্ণ নিরক্ষর মানুষকে সচেতন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, নারীদের জন্য বিরাট একটি বাজার খুলে আছে সেবাখাতে কেয়ার গিভার এবং নার্সিং। এটা অনেক বড় খাত। আমি মনে করি এই খাতের প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা টিটিসি হওয়া প্রয়োজন। ভাষা শিক্ষায়ও জোর দিতে হবে। কারণ ইউরোপের দেশগুলোতে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলেও কাজ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নারী কর্মীদের সচেতনতা ও দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, নারী কর্মীদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সচেতনতা ও দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  শিক্ষা আর দক্ষতা থাকলে নারী কর্মীদের সচেতনতা কিংবা বুঝতে পারার ক্ষমতা শতগুণ বেড়ে যায়। আর এখান থেকেই শক্তি চলে আসে। তখন কিন্তু কেউ সুযোগ নিতে পারে না। গৃহকর্মী হিসেবে পাঠাতে হলে শিক্ষিত নারীদের পাঠানো উচিত।
আজ রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বিজয়’৭১ হলে নারী অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা ২২টি সংগঠনের জোটের ‘নারী অভিবাসীদের সম্মিলিত কণ্ঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, জোটের চেয়ার ইশরাত আমীন, কো-চেয়ার ফওজিয়া খন্দকার, ড. রুবিনা ইয়াসমিন এবং সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
জোটের অন্তর্ভুক্ত ২২টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা কানাডার গ্লোবাল এফেয়ার্সের অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেন্টার ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন স্টাডিজ জোটের সেক্রেটারিয়েট হিসেবে কাজ করবে।
ইমরান আহমদ বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে নারীদের সম্পৃক্ততা দেশের জন্য এক ধরনের গেম চেঞ্জার বিষয়। বিদেশে কর্মী হিসেবে নারীদের অভিবাসন গার্মেন্টস থেকেও বড় গেম চেঞ্জিং।  ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমাদের সঙ্গে আরও অন্তত ২০ বছর থাকবে। আমরা যদি এই সময়ে আমাদের নারীদেরকে বেকার রাখি, ২০ বছর পর কিন্তু তারা কোনো কাজ করতে পারবে না। বিদেশ যাওয়া একজন নারীর একান্ত ব্যক্তিগত চয়েস।
মন্ত্রী বলেন, নিরক্ষর নারী যিনি কোনোদিন গ্রামের বাইরে যাননি, তাকে যখন প্লেনে বসানো হয় এবং বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়, এদের চেয়ে অসহায় মানুষ আর কেউ হতে পারে না। আমাদের এখানে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। যত দ্রুত আমরা ভূমিকা রাখতে পারবো ততো তাড়াতাড়ি যেসব নির্যাতনের খবর আমরা পাই তা কমে আসবে। বিদেশগমনেচ্ছু নারীদের জানাতে হবে কোথায় গেলে কি পাওয়া যাবে। আমাদের জেলা জনশক্তি অফিস ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রায় সব জেলায় আছে। সেখানে আমরা পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করি। সচেতনতার জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। কিন্তু সম্পূর্ণ নিরক্ষর মানুষকে সচেতন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, নারীদের জন্য বিরাট একটি বাজার খুলে আছে সেবাখাতে কেয়ার গিভার এবং নার্সিং। এটা অনেক বড় খাত। আমি মনে করি এই খাতের প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা টিটিসি হওয়া প্রয়োজন। ভাষা শিক্ষায়ও জোর দিতে হবে। কারণ ইউরোপের দেশগুলোতে মোটামুটি ইংরেজি জানা থাকলেও কাজ হয়।