প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :

সায়মন ওভারসীস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস আফসিয়া জান্নাত সালেহ এর বিরুদ্ধে এয়ার টিকেট বিক্রির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের আনা অভিযোগের কোন ধরনের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়। গতকাল রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো: সাইফুল ইসলাম মন্ডল স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ অব্যাহতি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
গুলশান-১ এর অফিসের ঠিকানায় সায়মন ওভারসীস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নড়িয়া ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের স্বত্তাধিকারী সবুজ মুন্সী কর্তৃক আনীত সায়মন ওভারসীজ লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ আফসিয়া জান্নাত সালেহ এর বিরুদ্ধে ক্রস বর্ডার (দেশের বাইরে) এয়ার টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগটি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় কর্তৃক পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে অভিযোগকারীর দেয়া তথ্য, আয়াটা, ট্রাভেল পোর্ট, সেবার, এমাডিউজ জিডিএস এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই সায়মন ওভারসীজের এমডি আফসিয়া জান্নাত সালেহ এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এরআগে গত ১৪ অক্টোবর মন্ত্রনালয়ে সায়মন ওভারসীজের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন নড়িয়া ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর স্বত্তাধিকারী সবুজ মুন্সী। অভিযোগের একটি অংশে তিনি দাবী করেছিলেন, সায়মন ওভারসীজ বাংলাদেশে ১৬ কোটি আয়াটা (আইএটিএ) এর মাধ্যমে এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রদান করেছে এবং এয়ারলাইন্সগুলো রেমিটেন্সের মাধ্যমে টিকেট বিক্রয়ের টাকা নিজ নিজ দেশে নিয়েছে। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ লি: ঐ সকল দেশ থেকে বিক্রয়লব্ধ অর্থ বাংলাদেশে বৈধভাবে আনেন নাই। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঐ পরিমান রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, যা অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন এমএলপিএ-২০১২ সংশেধিত ২০১৫ এর সুস্পষ্ট লংঘন।
এদিকে সায়মন ওভারসীজ লি: এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এয়ার টিকিটের ভাড়া কৃত্রিমভাবে বাড়ানো ও বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের নাম ও বিস্তারিত তথ্য ছাড়াই গ্রুপ বৃুকিং ও সিট ব্লক করে রাখার মতো অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী চক্র পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারে জড়িয়েছেন বলে আিভযোগ উঠেছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (অঞঅই)এর ২০২৪-২০২৫ এর মহাসচিব ও সায়মন ওভারসিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহের নেতৃত্বে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া হলে, ক্ষুব্ধ একটি সিন্ডিকেট চক্র সায়মন ওভারসিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও মানহানিকর প্রচারনা শুরু করে। বিজ্ঞপ্তিতে সায়মন ওভারসিজ লিমিটেড আরো জানিয়েছে, “এই মিথ্যা অভিযোগ ও মানহানিকর অপপ্রচারের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।” গতকাল রাতে আটাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, সায়মন ওভারসীজের এমডিকে অব্যাহতি দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, সরকারকে আরো যাচাই বাছাই করে এ ধরনের অভিযোগগুলোকে আমলে নিতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে সরকার এখন কি ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেটি দেখতে পুরো ট্রেড অপেক্ষায় আছে।