ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেসবুকে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশগামীদের সাথে প্রতারনা, টাস্কফোর্স নীরব আটাবের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিলের সরকারী আদেশে হাইকোর্টের রুল নিস্পত্তি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে সরাসরি বিমান চলাচল নিয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এক বাংলাদেশী ইতালীর তীরে পৌছেন লাশ হয়ে বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন প্রধান স্থপতি মোশতাক আহমেদের পিতার মৃত্যুতে রাজউক চেয়ারম্যানের শোক আরবী ভাষায় দক্ষতা না থাকায় ৯৮% নারী কর্মী বিদেশে কাংখিত মজুরী পাচ্ছেন না মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সেনবাগে দোয়া মাহফিল ইতালী পাড়ি দেয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে প্রান হারিয়েছেন ৭৬০ জন

মালয়েশিয়ায় কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি

  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / 623
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধসহ বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট (বায়রা)। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর শ্রমিক রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে অভিবাসী কর্মী রফতানি নিয়ে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি সই হয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‌‘চুক্তি সই হওয়ার সময় ২০১৬ সালে যে চক্র সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়া অভিবাসী কর্মীদের অর্থ লুট করেছে, সেই চক্রটি এবারও দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের ভুল তথ্য, শক্তি ও অর্থ দিয়ে কর্মী রফতানির চুক্তিতে একটি শর্ত জুড়ে দেয়। তা হলো, দেশের জনশক্তি রফতানিকারকদের বাছাই করার ক্ষমতা মালয়েশিয়ার হাতে থাকবে। এ শর্তে আবারও সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করা হয়েছে।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি দাবি জানান, কোনও সিন্ডিকেট, মনোপলি ও শ্রেণি বিভাজন ছাড়া সব বৈধ এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখতে হবে। বৈধ লাইসেন্সে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির সুযোগ দিতে হবে।

বায়রার মহাসচিব মোস্তাফা মাহমুদ বলেন, ‘২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী আমাদের সরকার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেবে। কিন্তু কারা ব্যবসা করবে সেটা ঠিক করবে মালয়েশিয়ান সরকার। আমি মনে করি, এটা আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে। আমাদের দেশ থেকে কারা কাজ করবে সেটা নির্ধারণ করবো আমরা, অন্য দেশের সরকার নয়।’

সংগঠনটি থেকে অতিরিক্ত বিমান ভাড়া বন্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‌‘আমরা যেমন সিন্ডিকেট চাই না, তেমনি চাই না বিমান ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দুটিই জাতির জন্য ক্ষতিকর। সিন্ডিকেট তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ায় কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি

আপডেট সময় : ০৪:০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট বন্ধসহ বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট (বায়রা)। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর শ্রমিক রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে অভিবাসী কর্মী রফতানি নিয়ে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি সই হয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‌‘চুক্তি সই হওয়ার সময় ২০১৬ সালে যে চক্র সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়া অভিবাসী কর্মীদের অর্থ লুট করেছে, সেই চক্রটি এবারও দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের ভুল তথ্য, শক্তি ও অর্থ দিয়ে কর্মী রফতানির চুক্তিতে একটি শর্ত জুড়ে দেয়। তা হলো, দেশের জনশক্তি রফতানিকারকদের বাছাই করার ক্ষমতা মালয়েশিয়ার হাতে থাকবে। এ শর্তে আবারও সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করা হয়েছে।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি দাবি জানান, কোনও সিন্ডিকেট, মনোপলি ও শ্রেণি বিভাজন ছাড়া সব বৈধ এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখতে হবে। বৈধ লাইসেন্সে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির সুযোগ দিতে হবে।

বায়রার মহাসচিব মোস্তাফা মাহমুদ বলেন, ‘২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী আমাদের সরকার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেবে। কিন্তু কারা ব্যবসা করবে সেটা ঠিক করবে মালয়েশিয়ান সরকার। আমি মনে করি, এটা আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে। আমাদের দেশ থেকে কারা কাজ করবে সেটা নির্ধারণ করবো আমরা, অন্য দেশের সরকার নয়।’

সংগঠনটি থেকে অতিরিক্ত বিমান ভাড়া বন্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‌‘আমরা যেমন সিন্ডিকেট চাই না, তেমনি চাই না বিমান ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দুটিই জাতির জন্য ক্ষতিকর। সিন্ডিকেট তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি।’