ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / 16
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের পেটালিং জায়ার মেন্টারি কোর্টে অভিবাসন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট টিমের একটি সাঁড়াশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মেগা অভিযানে বিভিন্ন সংস্থার ৩৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী অংশ নিয়েছিলেন। অভিযান চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন জাতীয়তার ১,৫৯৭ জন ব্যক্তির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে কাগজপত্রহীন ৫৯৭ জনকে আটক করা হয়। যাদের বয়স ১১ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে ৪৭২ জন পুরুষ এবং ১২৫ জন নারী রয়েছেন।

আটকরা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তবে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি। পরিচয়পত্র না থাকা, অনুমোদিত সময়ের বেশি সময় ধরে অবস্থান করা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন করা এবং অবৈধ নথি ব্যবহারের অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক অবৈধ অভিবাসীদের তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সময়ে, পেটালিং জায়া সিটি কাউন্সিল এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনও অভিযানে অংশগ্রহণ করে এবং একই বসতির আশপাশে ব্যবসা এবং বিদেশিদের কর্মসংস্থান লক্ষ্য করে একটি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে।

পেটালিং জায়ার মেয়র মোহাম্মদ জহরি সামিংগন জানিয়েছেন, তার দল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জন্য নির্ধারিত প্রবিধান অনুসারে অনুমোদিত বিধি অনুসারে অভিযান পরিচালনা করেছে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক

যার মধ্যে রয়েছে অননুমোদিত ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণে বিদেশিদের নিয়োগ করা, আবাসস্থলগুলোকে ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণ হিসেবে অপব্যবহার করা এবং আবাসস্থলগুলোকে আবাসিক ডরমিটরি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কক্ষগুলোতে সংস্কার করা। জাফরি মালয়েশিয়ানদের অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ বা সুরক্ষা না দেওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন। কারণ, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী (অপটিজম) আইন ২০০৭-এর অধীনে বিধান অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসীদের তাদের আবাসস্থলে সুরক্ষা দেন বা থাকতে দেন, যার মধ্যে বাড়িওয়ালাও রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে দেশটির ইমিগ্রেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক

আপডেট সময় : ১২:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের পেটালিং জায়ার মেন্টারি কোর্টে অভিবাসন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট টিমের একটি সাঁড়াশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মেগা অভিযানে বিভিন্ন সংস্থার ৩৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী অংশ নিয়েছিলেন। অভিযান চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন জাতীয়তার ১,৫৯৭ জন ব্যক্তির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে কাগজপত্রহীন ৫৯৭ জনকে আটক করা হয়। যাদের বয়স ১১ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে ৪৭২ জন পুরুষ এবং ১২৫ জন নারী রয়েছেন।

আটকরা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তবে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি। পরিচয়পত্র না থাকা, অনুমোদিত সময়ের বেশি সময় ধরে অবস্থান করা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন করা এবং অবৈধ নথি ব্যবহারের অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক অবৈধ অভিবাসীদের তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সময়ে, পেটালিং জায়া সিটি কাউন্সিল এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনও অভিযানে অংশগ্রহণ করে এবং একই বসতির আশপাশে ব্যবসা এবং বিদেশিদের কর্মসংস্থান লক্ষ্য করে একটি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে।

পেটালিং জায়ার মেয়র মোহাম্মদ জহরি সামিংগন জানিয়েছেন, তার দল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জন্য নির্ধারিত প্রবিধান অনুসারে অনুমোদিত বিধি অনুসারে অভিযান পরিচালনা করেছে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক

যার মধ্যে রয়েছে অননুমোদিত ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণে বিদেশিদের নিয়োগ করা, আবাসস্থলগুলোকে ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণ হিসেবে অপব্যবহার করা এবং আবাসস্থলগুলোকে আবাসিক ডরমিটরি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কক্ষগুলোতে সংস্কার করা। জাফরি মালয়েশিয়ানদের অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ বা সুরক্ষা না দেওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন। কারণ, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী (অপটিজম) আইন ২০০৭-এর অধীনে বিধান অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসীদের তাদের আবাসস্থলে সুরক্ষা দেন বা থাকতে দেন, যার মধ্যে বাড়িওয়ালাও রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে দেশটির ইমিগ্রেশন।