ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ উপলক্ষে ২০০ বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা হুথিদের

  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / 230
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। দেশটির আর মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর যুদ্ধবন্দি বিষয়ক কমিটির প্রধান নির্বাহী আবদুল কাদের আল মুরতাদা।

সাক্ষাৎকারে আল মুরতাদা বলেন, ‘সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে আমাদের যে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ প্রতিনিধিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

কিন্তু এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং একদা স্বচ্ছল এই দেশটি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

যদি এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়, সেক্ষেত্রে সৌদি-আমিরাত জোটের হাতে বন্দি প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন হুথি এবং ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদির ভাইসহ হুথি বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি ৮২৩ জন সৌদি ও আমিরাতের নাগরিকের মুক্তির দুয়ার খুলবে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে হুথি বিদ্রোহী ও সৌদি-আমিরাত সামরিক জোটের মধ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঈদ উপলক্ষে ২০০ বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা হুথিদের

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। দেশটির আর মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর যুদ্ধবন্দি বিষয়ক কমিটির প্রধান নির্বাহী আবদুল কাদের আল মুরতাদা।

সাক্ষাৎকারে আল মুরতাদা বলেন, ‘সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে আমাদের যে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ প্রতিনিধিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

কিন্তু এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং একদা স্বচ্ছল এই দেশটি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

যদি এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়, সেক্ষেত্রে সৌদি-আমিরাত জোটের হাতে বন্দি প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন হুথি এবং ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদির ভাইসহ হুথি বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি ৮২৩ জন সৌদি ও আমিরাতের নাগরিকের মুক্তির দুয়ার খুলবে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে হুথি বিদ্রোহী ও সৌদি-আমিরাত সামরিক জোটের মধ্যে।