ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন: মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী গেলে তারা আরো গরীব হবে রাজবাড়িতে প্রবাসী আলামিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে দুই আসামী গ্রেফতার পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস দৌলতদিয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষাভ ও মানববন্ধন কনে দেখতে গিয়ে নিখোজ যুবকের লাশ নদী থেকে উদ্ধার ৪২৩ যাত্রী নিয়ে রিয়াদের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়েছে ইউএস বাংলার প্রথম ফ্লাইট অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: গোয়ালন্দ পৌরবাসি জন্মলগ্ন থেকেই সুবিধাবঞ্চিত ঢাকায় প্রবাসীদের কল্যানে প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্টা করা হবে : ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশী পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুর্নবহালের সিদ্ধান্ত প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা

রাজবাড়িতে প্রবাসী আলামিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে দুই আসামী গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ১০:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 14
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শাজাহান শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

 

রাজবাড়ীতে প্রবাসী আল-আমিন (২৮) হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পাবনার আমিনপুর থানার কোমরপুর গ্রামের মৃত আলো মৃধার ছেলে মো. আব্দুস সালাম ঠান্ডু (৩৫) এবং একই থানার চক আব্দুস শুকুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৪০)।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার শুক্রবার (২ মে) দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া থানায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সালাম ঠান্ডু ও জুয়েল রানা হত্যাকাণ্ডের সময় সরাসরি অংশ নেয় এবং হত্যার পর আল-আমিনকে ঘাড় মটকে নদীতে ফেলে দেয়।

প্রসঙ্গত, নিহত আল-আমিন পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রামনারায়ণপুর গ্রামের আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে। তিনি প্রায় সাত বছর মালয়েশিয়ায় কর্মরত ছিলেন এবং চার মাস আগে দেশে ফেরেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আল-আমিন তার মামা লিটন গাজী ও বোন আকলিমাকে নিয়ে রাজবাড়ীর ঢালারচর এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান। পরে দুপুরে ফুফাতো ভগ্নিপতি মেঘা সরদারের মোটরসাইকেলে করে গোয়ালন্দ উপজেলার রাখালগাছি বাজারে যাওয়ার পথে চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে একদল হামলাকারী তার পথরোধ করে।

এ সময় শাহ আলী, রবিউল, আব্দুস সালাম ঠান্ডু, জুয়েল রানা, সেলিমসহ আরও কয়েকজন আল-আমিনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে আল-আমিন পাশের পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে তিনি নদীতে নিখোঁজ হন।

খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ স্পিডবোট ও ডুবুরিদের সহায়তায় তল্লাশি চালায়। পরদিন শনিবার দুপুরে রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ওই রাতেই নিহতের মামা লিটন গাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ওই রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামি মেঘা সরদারকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজবাড়িতে প্রবাসী আলামিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে দুই আসামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

শাজাহান শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

 

রাজবাড়ীতে প্রবাসী আল-আমিন (২৮) হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পাবনার আমিনপুর থানার কোমরপুর গ্রামের মৃত আলো মৃধার ছেলে মো. আব্দুস সালাম ঠান্ডু (৩৫) এবং একই থানার চক আব্দুস শুকুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৪০)।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার শুক্রবার (২ মে) দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া থানায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সালাম ঠান্ডু ও জুয়েল রানা হত্যাকাণ্ডের সময় সরাসরি অংশ নেয় এবং হত্যার পর আল-আমিনকে ঘাড় মটকে নদীতে ফেলে দেয়।

প্রসঙ্গত, নিহত আল-আমিন পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রামনারায়ণপুর গ্রামের আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে। তিনি প্রায় সাত বছর মালয়েশিয়ায় কর্মরত ছিলেন এবং চার মাস আগে দেশে ফেরেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আল-আমিন তার মামা লিটন গাজী ও বোন আকলিমাকে নিয়ে রাজবাড়ীর ঢালারচর এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান। পরে দুপুরে ফুফাতো ভগ্নিপতি মেঘা সরদারের মোটরসাইকেলে করে গোয়ালন্দ উপজেলার রাখালগাছি বাজারে যাওয়ার পথে চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে একদল হামলাকারী তার পথরোধ করে।

এ সময় শাহ আলী, রবিউল, আব্দুস সালাম ঠান্ডু, জুয়েল রানা, সেলিমসহ আরও কয়েকজন আল-আমিনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে আল-আমিন পাশের পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে তিনি নদীতে নিখোঁজ হন।

খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ স্পিডবোট ও ডুবুরিদের সহায়তায় তল্লাশি চালায়। পরদিন শনিবার দুপুরে রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ওই রাতেই নিহতের মামা লিটন গাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ওই রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামি মেঘা সরদারকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।