যারা হকের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা ভেসে গেছে – মামুনুল হক
- আপডেট সময় : ০৯:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
- / 53
মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারীঃ
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নির্দেশে আমরা এখানে মাহফিলে আসার চেস্টা করতাম কিন্তু পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় জালিম শাসক গোষ্ঠী। যারা আমাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যারা দ্বিনের কথা সত্যভাবে স্পষ্ট ভাষায় বলার কারনে আমাদের উপর রুষ্ট হয়েছিল, যারা তাদের নেতা নেত্রীদের খুশি করার জন্য আল্লাহর দ্বিনের কথা বলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তারা ভেসে গেছে তাদের নেতা নেত্রীরাও ভেসে গেছে। আল্লামা আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীদের মতো বুজুর্গদের ফরিয়াদ আকুতি আল্লাহ ব্যর্থ হতে দেন নাই। একটু একটু করে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ অভিশাপ আহাজারিগুলো আল্লাহর দরবারে জমা হয়েছে। এগুলো জমাট বাঁধতে বাঁধতে একসঙ্গে ৫ই আগস্ট অভিশাপ হয়ে অত্যাচারীর মসনদকে এই জমিন থেকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণে নিবেদিত দেশের ঐতিহ্যবাহী দীন-দরদী সংগঠন আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ঐতিহাসিক ৩ দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাইখুল হাদীস আল্লাহমা মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ ও মাওলানা রিজওয়ান আরমানের যৌথ সঞ্চালনায় দুপুর ২টা থেকে উক্ত মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা শোয়াইব জমিরী, মাও ওসমান সাঈদী ও মুফতী নাসির উদ্দীনের ধারাবাহিক সভাপতিত্বে মাহফিলের ধারাবাহিক সভাপতিত্ব করেন।
মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত নির্বাচনে একজন মুসলমানকেও নমিনেশন দেয় নাই। প্রায় সময় দেখা যায় ভারতে মুসলমানদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। সেই ভারত আমাদের উপদেশ দেয় কিভাবে আমরা সংখ্যা লুঘুদের রক্ষা করবো। তাদের সে উপদেশ দেয়ার অধিকার নাই। গত ১৬ বছর ধরে সংখ্যা লুঘু সম্প্রদায় যারা আ.লীগের সাথে জড়িত তারা কি পরিমাণ জুলুম নির্যাতন মুসলমানদের উপর করেছে তা আপনারা জানেন। কাজেই আমরা যদি ইসলামকে সমুন্নত রাখতে চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চাই তাহলে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
মাহফিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুনাজাত করেন প্রধান অতিথি আমীরে হেফাজত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
এতে আরও তাফসীর পেশ করেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মুফতী হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মুফতী আব্দুল আজিজ, মাওলানা ইসমাইল বুখারী কাশিয়ানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ০১ নভেম্বর দুপুর দুইটা থেকে তিন দিন ব্যাপি উক্ত মাহফিলের তৃতীয় ও শেষ দিবসের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করবেন অন্তরর্তী কালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন এবং শাইখুল হাদীস আল্লাহমা মামুনুল হক।