ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপোরোয়া ‘মারছা’

  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 27
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

জীবন নয়, সময়কে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারছা পরিবহন।
প্রতিদিন এই গাড়ির অতিরিক্ত গতি সহ্য করে সাধারন মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার গন্তব্য চলাচল করছেন। গাড়ির গতি দেখে যাত্রীদের প্রতি মুহুর্ত হার্টবিট বাড়লেও তোয়াক্কা করছেন না এই বাসের কোন চালকরাই।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে মারসা পরিবহনের বাসটি (চট্ট মেট্রো-ব-১১-৮৪৮২) চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পথিমধ্য সাইনবোর্ড কাউন্টার থেকে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয়। এরপর শুরু হয় চালকের বেপোরোয়া আচরন। শুরুতে যাত্রীরা বুঝতে না পারলেও মদনপুরে কয়েক দফা ঝাকুনি খাওয়ার পরই বুঝতে পারেন বাসের গতি সামনে আরো বাড়বে। এমন চিন্তা করার আগেই যাত্রীরা দেখতে পান গতির খেলা। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লার মিয়ামী রিসোর্টে পৌছার আগ পর্যন্ত ৫-৬টি স্পটে বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনার আশংকা ছিলো বলে যাত্রীরা জানান। এভাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সীতাকুন্ডু বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে থামে। এরপর ঝড়ের গতিতে বাসটি রাত ১০টা নাগাদ চট্টগ্রামে পৌছে। তারমানে ঢাকা থেকে ৪ ঘন্টায় বাসটি চট্টগ্রামে পৌছে যায়। এরমধ্য বেপোরোয়াভাবে গাড়ি না চালানোর জন্য যাত্রীরা চালককে অনুরোধ করলেও তা মোটেও আমলে নেয়া হয়নি। এসময় চালকের বাস চালনা দেখে যাত্রীরা ভয়ে আতংকে থাকেন।
ওই বাসের যাত্রী আইটি বিশেষজ্ঞ নুর ইসলাম নাহিদ প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, আমি যতবারই এই মারসা পরিবহনের বাসে চলাচল করেছি ততবারই ভালো লেগেছে। কিন্ত এই গতি আমার কাছে আতংকের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুকি বলে মনে করি। যাত্রীদের চাহিদা ঠিক রাখতে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেনো আমরা নিরাপদভাবে নিজ গন্তব্য পৌছাতে পারি। গাড়ির চালক কেমন বেপোরোয়া ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, পুরো রাস্তায় দেখলাম গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। আমার মনে হলো ১২০ কিলো গতিতে গাড়িটি চলেছে। এসময় মোবাইল দেখতে গিয়েও দেখতে পারিনি। হঠাৎ হঠাৎ ব্রেকে যাত্রীদের ঘুম ভেংগে যায়। শ্যামলী হানিফ পরিবহনের মতো বাসগুলোকেও হার মানিয়েছে মারসা পরিবহনটি। সরকারের কাছে আমাদের দাবী দ্রুত এই গাড়ির গতিটি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কে সুস্থভাবে গাড়ি পরিচালনা করা।
এরআগে সাইনবোর্ড কাউন্টারে থাকা মারসা পরিবহনের স্টাফ দম্ভ নিয়ে যাত্রীদের বলেন, মারসা গাড়িতে উঠলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই গাড়ির গতি কেমন। সাড়ে ৩ ঘন্টায় আপনি চলে যাবেন গন্তব্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপোরোয়া ‘মারছা’

আপডেট সময় : ০২:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

জীবন নয়, সময়কে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারছা পরিবহন।
প্রতিদিন এই গাড়ির অতিরিক্ত গতি সহ্য করে সাধারন মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার গন্তব্য চলাচল করছেন। গাড়ির গতি দেখে যাত্রীদের প্রতি মুহুর্ত হার্টবিট বাড়লেও তোয়াক্কা করছেন না এই বাসের কোন চালকরাই।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে মারসা পরিবহনের বাসটি (চট্ট মেট্রো-ব-১১-৮৪৮২) চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পথিমধ্য সাইনবোর্ড কাউন্টার থেকে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয়। এরপর শুরু হয় চালকের বেপোরোয়া আচরন। শুরুতে যাত্রীরা বুঝতে না পারলেও মদনপুরে কয়েক দফা ঝাকুনি খাওয়ার পরই বুঝতে পারেন বাসের গতি সামনে আরো বাড়বে। এমন চিন্তা করার আগেই যাত্রীরা দেখতে পান গতির খেলা। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লার মিয়ামী রিসোর্টে পৌছার আগ পর্যন্ত ৫-৬টি স্পটে বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনার আশংকা ছিলো বলে যাত্রীরা জানান। এভাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সীতাকুন্ডু বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে থামে। এরপর ঝড়ের গতিতে বাসটি রাত ১০টা নাগাদ চট্টগ্রামে পৌছে। তারমানে ঢাকা থেকে ৪ ঘন্টায় বাসটি চট্টগ্রামে পৌছে যায়। এরমধ্য বেপোরোয়াভাবে গাড়ি না চালানোর জন্য যাত্রীরা চালককে অনুরোধ করলেও তা মোটেও আমলে নেয়া হয়নি। এসময় চালকের বাস চালনা দেখে যাত্রীরা ভয়ে আতংকে থাকেন।
ওই বাসের যাত্রী আইটি বিশেষজ্ঞ নুর ইসলাম নাহিদ প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, আমি যতবারই এই মারসা পরিবহনের বাসে চলাচল করেছি ততবারই ভালো লেগেছে। কিন্ত এই গতি আমার কাছে আতংকের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুকি বলে মনে করি। যাত্রীদের চাহিদা ঠিক রাখতে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেনো আমরা নিরাপদভাবে নিজ গন্তব্য পৌছাতে পারি। গাড়ির চালক কেমন বেপোরোয়া ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, পুরো রাস্তায় দেখলাম গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। আমার মনে হলো ১২০ কিলো গতিতে গাড়িটি চলেছে। এসময় মোবাইল দেখতে গিয়েও দেখতে পারিনি। হঠাৎ হঠাৎ ব্রেকে যাত্রীদের ঘুম ভেংগে যায়। শ্যামলী হানিফ পরিবহনের মতো বাসগুলোকেও হার মানিয়েছে মারসা পরিবহনটি। সরকারের কাছে আমাদের দাবী দ্রুত এই গাড়ির গতিটি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কে সুস্থভাবে গাড়ি পরিচালনা করা।
এরআগে সাইনবোর্ড কাউন্টারে থাকা মারসা পরিবহনের স্টাফ দম্ভ নিয়ে যাত্রীদের বলেন, মারসা গাড়িতে উঠলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই গাড়ির গতি কেমন। সাড়ে ৩ ঘন্টায় আপনি চলে যাবেন গন্তব্য।