চট্টগ্রাম কাস্টমসের ২ কর্মকর্তা কারাগারে
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
- / 1311
মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত পণ্য খালাসে প্রায় ২৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে দায়েরকৃত দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে পাঠানো দুই কাস্টম কর্মকর্তা হলেন, মো. রবিউল ইসলাম মোল্লা ও নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। মামলার চার আসামির অপর দু’জন হলেন, নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তারা পলাতক আছেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বাসস’কে জানান, ‘২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ দুই কাস্টম কর্মকর্তা ও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি দুই কাস্টম কর্মকর্তা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আদেশ মতে, আজ সকালে আত্মসমর্পণ করে দুইজনই জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
তিনি বলেন, দুদকের মামলার পর রবিউল ইসলাম মোল্লাকে কাস্টমস বরখাস্ত করে। নাসিরউদ্দিন মাহমুদ অবসরে চলে যান। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার মেসার্স রয়্যাল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক নজরুল ইসলাম চীন থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানি করেন। একই মাসের শেষদিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় তিনি আমদানি সম্পর্কিত কাগজপত্র সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল হোসেন মজুমদারের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে, সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল আমদানিকারক নজরুল ইসলামকে অবগত না করে বনলতা শিপিং এজেন্সির কাছে আমদানির সব নথিপত্র হস্তান্তর করেন। বনলতার মালিক মান্নান আমদানিকৃত পণ্য ইলেকট্রনিক্স আইটেম ঘোষণা না করে শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে চালানটিকে ‘ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টস’ ঘোষণা করেন।
এ সময় জাল কাগজপত্র তৈরি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চালানটি খালাস করা হয়। অভিযুক্ত দুই কাস্টমস কর্মকর্তা চালানগুলো খালাসে সহযোগিতা করেন। খালাসের পর কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারেন। পরে দুদক তদন্ত করে খালাস প্রক্রিয়ায় ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকার আত্মসাতের প্রমাণ পায়। সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের এ ঘটনায় দুদক চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।