ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া থেকে ফিরছে আরও ১৪০ বাংলাদেশি

  • আপডেট সময় : ১০:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 259
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে (UZ2 22) তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে বিদায় জানায়। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২৭ জন বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন।

এর আগে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার মহোদয়ের নেতৃত্বে দূতাবাসের টিম গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে আল-বাইদা এবং ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে দারনা শহর সফর করেন। সফরকালে রাষ্ট্রদূত আল-বাইদা ও দারনা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। ওই সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের দেশে প্রেরণসহ তাদের সার্বিক কল্যাণে দূতাবাসের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদেরকে জরুরি ওষুধসহ কয়েক দফায় ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত সকল প্রবাসীর তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের অনুকূলে ট্র্যাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে দূতাবাসের প্রচেষ্টায় আইওএমের নিকট তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর অনুকূলে বহির্গমন ভিসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের পর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আইওএমের তত্ত্বাবধানে এসব বাংলাদেশিকে প্রাথমিকভাবে বেনগাজীতে স্থানান্তর করা হয়।

লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর এবং আইওএমের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দূতাবাস। এরই ধারাবাহিকতায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ত্রিপলী ও বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ বিপদগ্রস্ত মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লিবিয়া থেকে ফিরছে আরও ১৪০ বাংলাদেশি

আপডেট সময় : ১০:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে (UZ2 22) তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে বিদায় জানায়। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২৭ জন বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন।

এর আগে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার মহোদয়ের নেতৃত্বে দূতাবাসের টিম গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে আল-বাইদা এবং ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে দারনা শহর সফর করেন। সফরকালে রাষ্ট্রদূত আল-বাইদা ও দারনা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। ওই সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের দেশে প্রেরণসহ তাদের সার্বিক কল্যাণে দূতাবাসের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদেরকে জরুরি ওষুধসহ কয়েক দফায় ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত সকল প্রবাসীর তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের অনুকূলে ট্র্যাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে দূতাবাসের প্রচেষ্টায় আইওএমের নিকট তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর অনুকূলে বহির্গমন ভিসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের পর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আইওএমের তত্ত্বাবধানে এসব বাংলাদেশিকে প্রাথমিকভাবে বেনগাজীতে স্থানান্তর করা হয়।

লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর এবং আইওএমের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দূতাবাস। এরই ধারাবাহিকতায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ত্রিপলী ও বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ বিপদগ্রস্ত মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রেরণ করা হয়েছে।