জরুরি পরিকল্পনা নিয়ে ইতালির পাশে ইইউ
- আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 164
এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো থেকে বন্যার মতো আসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইতালি। এই সংকট থেকে দেশটিকে উদ্ধার করতে ইতালির পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।
প্রসঙ্গত, ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দুই দেশ লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে প্রতিদিন শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমান। দুই দেশের মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসায় নামিয়ে দেন।
লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে সাগরপথে ল্যাম্পেদুসা মাত্র ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার পথ। চরম বিপদসঙ্কুল এসব যাত্রায় সাধারণ ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা ব্যবহার করা হয়। যাত্রাপথে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণও যায় অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীর। যারা বেঁচে যায়, তাদের আশ্রয় হয় ল্যাম্পেদুসার অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে।
ল্যাম্পেদুসার প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, সেখানকার অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রটির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা মাত্রা ৪ শ’ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন ১ হাজার ৫০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।
এর বাইরে গত সাত দিনে দ্বীপটিতে প্রবেশ করেছেন ৮ হজাার ৫০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। পরিস্থিতি এখন এম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ল্যাম্পেদুসার দ্বীপটির বাসিন্দাদের চেয়ে এখন সেখানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেশি।
রোববার সেই অভিবাসীকেন্দ্রটি পরিদর্শনে এসেছিলেন ইইউ’র নির্বাহী অংশ ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ভন ডার লেন বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন এখন আর কেবল ইতালির জন্য নয়, পুরো ইউরোপের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ এবং এখন ইউরোপীয় কায়দাতেই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।’
ইসি প্রেসিডেন্ট জানান, ঢলের মতো আসাতে থাকা এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ ঠেকাতে ইইউ’র ১০টি পয়েন্ট সম্বলিত একটি প্রস্তাবনা ইতালির সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত যে কোনো ইস্যুতে ইতালির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ইইউ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রসর হয়, তাহলে সামনে আসা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হবে ইউরোপ।’