ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার ভোরে ঢাকায় নামবে হজের ফিরতি ফ্লাইট

  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
  • / 138
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুক্রবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এবার দেশে ফেরার পালা। আগামী রোববার দিবাগত রাতে মদিনা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইট ছাড়বে। সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করবে ফ্লাইটটি।

এদিকে হাজিদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রত্যেক হাজি ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।

জমজমের পানি মিলবে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

জমজম কূপ হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। এটি কাবা থেকে ২০ মি পূর্বে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করেন এবং পরিবার আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসে।

অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সেজন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।

তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকল হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে।  হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স দেওয়া হবে। ঢাকা ছাড়াও  চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরেও একই রকম জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।

কোন এয়ারলাইন্সের কতজন হজযাত্রী ফিরবেন

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন সৌদি আরবে গেছেন। এ সব হজযাত্রীদের বহন করতে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার মোট ৩২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর মোট ফ্লাইট সংখ্যা ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে। একইভাবে সম সংখ্যক ফ্লাইটে হজযাত্রীদের দেশে পৌঁছে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সোমবার ভোরে ঢাকায় নামবে হজের ফিরতি ফ্লাইট

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

শুক্রবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এবার দেশে ফেরার পালা। আগামী রোববার দিবাগত রাতে মদিনা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইট ছাড়বে। সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করবে ফ্লাইটটি।

এদিকে হাজিদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রত্যেক হাজি ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।

জমজমের পানি মিলবে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

জমজম কূপ হলো মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। এটি কাবা থেকে ২০ মি পূর্বে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করেন এবং পরিবার আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসে।

অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সেজন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।

তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকল হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে।  হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স দেওয়া হবে। ঢাকা ছাড়াও  চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরেও একই রকম জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।

কোন এয়ারলাইন্সের কতজন হজযাত্রী ফিরবেন

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন সৌদি আরবে গেছেন। এ সব হজযাত্রীদের বহন করতে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার মোট ৩২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর মোট ফ্লাইট সংখ্যা ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে। একইভাবে সম সংখ্যক ফ্লাইটে হজযাত্রীদের দেশে পৌঁছে দেবে।