ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিকিমে বাংলাদেশিসহ আটকে পড়েছেন ২৫০০ পর্যটক

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / 133
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতের উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং, ইয়ুমথাং এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত। গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। আটকে রয়েছেন প্রায় দুই হাজার ৫০০ পর্যটক। এদের মধ্যে একটি কলেজের ৬০ জন শিক্ষার্থীও আছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি আটকে পড়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশের পর্যটকরাও। ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেলগুলোয় আটকে পড়েছেন এক হাজার ৯৭৫ জন দেশি পর্যটক ও ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক। এদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটকে পড়া আড়াই হাজার পর্যটককে ধাপে ধাপে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং লামার নির্দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনারও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।

প্রথম ধাপে শতাধিক পর্যটককে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে ১৯টি বাস এবং প্রায় ৭০টি ছোট গাড়ি পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনটি বাস ও দুইটি ছোট গাড়িতে করে প্রায় ১২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে রোববার (১৮ জুন) বিকেলের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। হড়পা বান ও ধসের জেরে উল্টে গিয়েছে একাধিক সংযোগকারী সেতু। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন (বুধবার) থেকে অবিরাম বর্ষণের কারণে উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে ছিলেন প্রায় দুই হাজার ৫০০ পর্যটক।

ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতের পর থেকে ১৬ জুন ভারী বৃষ্টির কারণে সিংটাম, ডিকচু, রাংরান, মঙ্গন, চুংথাং সংযোগকারী সড়কগুলির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধস দেখা গেছে এবং কিছু সড়ক পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সড়কের ওপর দিয়ে বইতে থাকা পানির কারণে এবং ভারী বৃষ্টির কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মূলত, সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে যাওয়ার বিষয়ে রাজ্যটিতে রয়েছে নানা সরকারি বিধিনিষেধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে সব নিষেধাজ্ঞা কতটা মানা হয় তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সম্প্রতি তুষার ধসে সাতজন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। গ্যাংটক-নাথুলা পথে ১৫ মাইল এলাকায় তুষার ধসে দুর্ঘটনায় মারা যান ওই সাতজন পর্যটক। জখম হয় অন্তত ২৭ জন।

তার আগে গত মাসেই তুষার ঝড়ে আটকে পরা ৪০ পর্যটককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এই নিয়ে চলতি বছরে পাঁচবার তুষার ঝড়ে আটকে পরা পর্যটকদের উদ্ধার করল সেনা ও বিআরও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিকিমে বাংলাদেশিসহ আটকে পড়েছেন ২৫০০ পর্যটক

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

 ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতের উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং, ইয়ুমথাং এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত। গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। আটকে রয়েছেন প্রায় দুই হাজার ৫০০ পর্যটক। এদের মধ্যে একটি কলেজের ৬০ জন শিক্ষার্থীও আছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি আটকে পড়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশের পর্যটকরাও। ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেলগুলোয় আটকে পড়েছেন এক হাজার ৯৭৫ জন দেশি পর্যটক ও ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক। এদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটকে পড়া আড়াই হাজার পর্যটককে ধাপে ধাপে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং লামার নির্দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনারও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।

প্রথম ধাপে শতাধিক পর্যটককে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে ১৯টি বাস এবং প্রায় ৭০টি ছোট গাড়ি পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনটি বাস ও দুইটি ছোট গাড়িতে করে প্রায় ১২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে রোববার (১৮ জুন) বিকেলের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। হড়পা বান ও ধসের জেরে উল্টে গিয়েছে একাধিক সংযোগকারী সেতু। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন (বুধবার) থেকে অবিরাম বর্ষণের কারণে উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে ছিলেন প্রায় দুই হাজার ৫০০ পর্যটক।

ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতের পর থেকে ১৬ জুন ভারী বৃষ্টির কারণে সিংটাম, ডিকচু, রাংরান, মঙ্গন, চুংথাং সংযোগকারী সড়কগুলির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধস দেখা গেছে এবং কিছু সড়ক পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সড়কের ওপর দিয়ে বইতে থাকা পানির কারণে এবং ভারী বৃষ্টির কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মূলত, সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে যাওয়ার বিষয়ে রাজ্যটিতে রয়েছে নানা সরকারি বিধিনিষেধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে সব নিষেধাজ্ঞা কতটা মানা হয় তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সম্প্রতি তুষার ধসে সাতজন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। গ্যাংটক-নাথুলা পথে ১৫ মাইল এলাকায় তুষার ধসে দুর্ঘটনায় মারা যান ওই সাতজন পর্যটক। জখম হয় অন্তত ২৭ জন।

তার আগে গত মাসেই তুষার ঝড়ে আটকে পরা ৪০ পর্যটককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এই নিয়ে চলতি বছরে পাঁচবার তুষার ঝড়ে আটকে পরা পর্যটকদের উদ্ধার করল সেনা ও বিআরও।