ডাক্তার-নার্স নিতে চায় লিবিয়া দূতাবাসের কাছে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে মন্ত্রণালয়
- আপডেট সময় : ০৭:৫১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
- / 338
নিজস্ব প্রতিবেদক : লিবিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে বেশকিছু ডাক্তার, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে আগত প্রতিনিধিদলের কাছে। ঢাকায় নিযুক্ত লিবিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করে এমন আগ্রহের কথা জানান। এসময় মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে তিন শ্রেণীর লোক কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় পাঠানো যেতে পারে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: শহিদুল আলম এবং ডাক্তার, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান প্রেরনে আগ্রহী তিনটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের মধ্যে আজুর বেঙ্গল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএনজেড রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটি মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন। সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিনের সাথে গতকাল বিকেলে তার দফতরে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা মূলত বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিতে চাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনারা আগে বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়কে লিখিভভাবে জানান। ডাক্তার- নার্স প্রেরনের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পৃত্ততা রয়েছে বলে জানান। মন্ত্রণালয়ে বৈঠক প্রসঙ্গে এএনজেড রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মহিউদ্দিন প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত লিবিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলটির সাথে আমাদের মন্ত্রী এবং সচিব স্যারের সাথে বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্য সুন্দর আলোচনা হয়েছে। লিবিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান নিতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা তারা বৈঠকে বলেছেন। মন্ত্রী মহোদয় বিষয়টির খোঁজ নিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেছেন। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী যাওয়া দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে খুলেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে দেশটিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বৈধ ছাড়পত্র নিয়ে বেশকিছু কর্মী গেছেন। ২০২২ সালে ১৭২ জন শ্রমিক বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে ৭০ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৫৮ জন গেছেন। প্রতিদিন লিবিয়াগামী শ্রমিকদের নামে জনশক্তি ব্যুরো থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু হচ্ছে বলে বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, প্রকাশ দুপুর ১টা ৫০ মিনিট