পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান ১৪টি মামলায় ১৫ দিনের আগাম জামিন পেয়েছেন। দেশটির পেশোয়ার হাইকোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কায়সার রশিদ খান শুনানির পর ইমরান খানকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত দায়রা জজের কাছে আদেশ পাঠান।
গত ২৫ মে ‘আজাদি মার্চ’ নাম দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলেন ইমরান খান। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘জনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বর্তমান অবৈধ ও আমদানি করা সরকার বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে লাঠিচার্জ করেছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’
সুপ্রিম কোর্ট পরে গ্রেপ্তারকৃত সব পিটিআই সদস্যকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ডন জানিয়েছে, আজাদি মার্চের পরদিন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আসিফ রাজা ১০৯, ১৪৮ ও ১৪৯ ধারায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১৮৬, ১৮৮ ও ৩৫৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় আসিফ রাজা বলেছেন, আজাদি মার্চের দিনে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিশ। ওই দিন পুলিশ বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পিটিআই সমর্থকেরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, পাথর ছুড়েছে এবং আগুন জ্বালিয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর গোলাম সারওয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে একই ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। সারওয়ার দাবি করেছেন, ওই দিন পিটিআই কর্মীরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করেছে এবং একটি সরকারি বাস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পরে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ সমাবেশের পরে ২৮ মে ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে লোই ভেড়, সেক্রেটারিয়েট পুলিশ, আবাপরা পুলিশ, গোলরা পুলিশ, ভারা কাহু পুলিশ, তারনল পুলিশ, কোরাল পুলিশ ও অন্যরা বিভিন্ন ধারায় ১১টি মামলা দায়ের করেছে।