ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: গোয়ালন্দ পৌরবাসি জন্মলগ্ন থেকেই সুবিধাবঞ্চিত ঢাকায় প্রবাসীদের কল্যানে প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্টা করা হবে : ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশী পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুর্নবহালের সিদ্ধান্ত প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা চারুকলায় পুড়লো ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশ কমিশনারের জাপানে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন জাপানসহ উন্নত বিশ্বে ব্যাপক কর্মসংস্থানের উদ্যেগ নেয়া হয়েছে-ড. আসিফ নজরুল গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল কারাগারে, এলাকায় মিষ্টি বিতরন আমাদের শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই : ট্রাম্প শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পের কাছে ড. ইউনুসের চিঠি

১৯ দিনে ১৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / 339
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডলারের বাজারে যখন অস্থির অবস্থা চলছে, তখন স্বস্তির বার্তা দিল রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৫ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ২০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রায় ৬ কোটি ডলার এসেছে। সোনালী ব্যাংকে এসেছে ৫ কোটি ডলার।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও  ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল এপ্রিলে ২০০ কো‌টি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৭৩০ কোটি ডলার; বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ এক লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।

রিজার্ভ

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি ব্যয় হিসেবে গত ১০ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৪১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল; সেদিনের স্থিতি ছিল ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সসহ বৈদেশিক মুদ্রার বেশি কিছু আয় যোগ হওয়ায় ২২ মে (রোববার) দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভের এ অর্থ দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১৯ দিনে ১৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

ডলারের বাজারে যখন অস্থির অবস্থা চলছে, তখন স্বস্তির বার্তা দিল রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৫ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ২০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রায় ৬ কোটি ডলার এসেছে। সোনালী ব্যাংকে এসেছে ৫ কোটি ডলার।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও  ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল এপ্রিলে ২০০ কো‌টি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৭৩০ কোটি ডলার; বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ এক লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।

রিজার্ভ

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি ব্যয় হিসেবে গত ১০ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৪১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল; সেদিনের স্থিতি ছিল ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সসহ বৈদেশিক মুদ্রার বেশি কিছু আয় যোগ হওয়ায় ২২ মে (রোববার) দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভের এ অর্থ দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।