সভায় মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘কক্সবাজার অন্য জেলা চেয়ে একটি সমৃদ্ধ জেলা। এখানে সরকারের সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সীমান্ত জেলা, রোহিঙ্গা সংকট ও মাদক পাচারসহ নানা সমস্যা রয়েছে এখানে। আদালতে ২০ হাজার মাদক মামলাসহ প্রায় ৮০ হাজার মামলা চলছে। এ মামলাজট কমাতে সম্প্রতি আদালত ও বিচারক বাড়ানো হয়েছে।’
কক্সবাজার আদালতে মামলা বাণিজ্য ও বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে চার শতাধিক টাউট, বাটপার ও দালাল রয়েছে। তাদের সঙ্গে কিছু আইনজীবীও যুক্ত। এসব দালালের কাজ শুধু ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা আদায় করা। এমনকি জেলা জজ, সহকারী জজ থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নামে জামিন করিয়ে দেওয়ার অজুহাতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। পরে যখন মামলায় জামিন হয় না, তখন বিচারকদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়। এতে সুনাম নষ্ট হচ্ছে বিচারকদের।’
মোহাম্মদ ইসমাইল জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন দল থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিচারকের চেয়ারে বসে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে গ্রাম আদালত সুষ্ঠুভাবে চলবে। মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। আদালতে মামলাজট কমবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আইনজীবীরা।
সভায় কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. মশিউর রহমান খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিমসহ জেলার অন্য বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।