ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাইয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / 683
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ খায়রুল আলম শেখ।

দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ কাজী ফয়সালের সঞ্চালনায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। এসময় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মদ সারওয়ার আলম এবং ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম সালাহ উদ্দিন।

dubai3.jpg

রাষ্ট্রদূত বলেন, ই-পাসপোর্টে পেজ ও মেয়াদ যত বেশি হবে দিরহাম ততো বেশি লাগবে। নিয়মিত দেশে যেতে না হলে ৪৮ পেজ এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দেন। যাদের কিছুদিন পর পর দেশে যেতে হয় তারা ৬৪ পেজ এবং পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দেন। কেননা, ৬৪ পেজে অনেকের দশ বছর যাবে না।

নাগরিকরা তার সুবিধামতো পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ পাসপোর্টের চিপে নাগরিক তথ্য ছাড়াও থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফেস ইমেজ, চোখের আইরিসের তথ্য ও স্বাক্ষর।

পলিকার্বোনেট ডাটা পেজে থাকছে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্যের সম্মিলন। ৩৮টি নিরাপত্তা ফিচার সংবলিত ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অনন্য সংযোজন।

প্রথম পর্যায়ে শুধু সাধারণ আবেদন গ্রহণ করা হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না। ফরমে কোনো ছবি সংযোজন বা সত্যায়নেরও প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।

dubai3.jpg

কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখার আলোকে বাংলাদেশ ও বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাইয়ে ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

অনলাইনে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন দাখিল করে আবেদনপত্র প্রিন্ট ও স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পেশার সনদসহ কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক আবেদন করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুবাইয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ খায়রুল আলম শেখ।

দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ কাজী ফয়সালের সঞ্চালনায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। এসময় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মুহাম্মদ সারওয়ার আলম এবং ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম সালাহ উদ্দিন।

dubai3.jpg

রাষ্ট্রদূত বলেন, ই-পাসপোর্টে পেজ ও মেয়াদ যত বেশি হবে দিরহাম ততো বেশি লাগবে। নিয়মিত দেশে যেতে না হলে ৪৮ পেজ এবং ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দেন। যাদের কিছুদিন পর পর দেশে যেতে হয় তারা ৬৪ পেজ এবং পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বানানোর পরামর্শ দেন। কেননা, ৬৪ পেজে অনেকের দশ বছর যাবে না।

নাগরিকরা তার সুবিধামতো পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ পাসপোর্টের চিপে নাগরিক তথ্য ছাড়াও থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফেস ইমেজ, চোখের আইরিসের তথ্য ও স্বাক্ষর।

পলিকার্বোনেট ডাটা পেজে থাকছে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্যের সম্মিলন। ৩৮টি নিরাপত্তা ফিচার সংবলিত ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অনন্য সংযোজন।

প্রথম পর্যায়ে শুধু সাধারণ আবেদন গ্রহণ করা হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না। ফরমে কোনো ছবি সংযোজন বা সত্যায়নেরও প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।

dubai3.jpg

কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখার আলোকে বাংলাদেশ ও বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাইয়ে ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

অনলাইনে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন দাখিল করে আবেদনপত্র প্রিন্ট ও স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পেশার সনদসহ কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধপূর্বক আবেদন করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।