হুমকিতে রোমানিয়ার শ্রমবাজার!
- আপডেট সময় : ০৭:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
- / 592
ছবি সংগৃহিত
প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:
পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়েছে আরো আগে থেকেই। হয়রানি ও ভোগান্তি এড়াতে এবার দিল্লির পরিবর্তে রোমানিয়াগামীদের ভিসা স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য ঢাকার জনশক্তি কর্মসংস্থাণ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী মোবাইল ভিসা কন্স্যুলেট সেন্টার। এখান থেকেই ৩ মাস ভিসা ইস্যু করা হবে। একই সাথে এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রমও চলবে ।
তবে অভিযোগ রয়েছে, এই দেশটিতে যেসব শ্রমিক বিএমইটি’র স্মার্ট কার্ড নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বেশীরভাগ নিয়োগকারী কোম্পানীতে বেশীদিন থাকছেন না। দালালদের প্রলোভনে পড়ে সুযোগ পেলেই অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রতিনিয়ত এভাবে চলতে থাকলে সম্ভবনাময় শ্রমবাজারটি হুমকির মধ্যে পড়তে পারে বলে অভিবাসন বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন।
অভিবাসন বিশ্লেষক একাধিক ব্যবসায়ী আজ (২৬ এপ্রিল) প্রবাসী কণ্ঠকে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, রোমানিয়া নিয়ে মিডিয়াতে আমরা বেশকিছু দিন যাবত পজিটিভ খবর দেখছি। এটা ভালো। কিন্তু এই শ্রমবাজারটির বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। শ্রমিকরা কিন্তু গিয়ে সেখানে থাকতে চায় না। বিবষয়টি রোমানিয়া সরকারের পক্ষ থেকে জানাজানি হয়ে গেলে তখন রোমানিয়া সরকার আমাদের ভিসা দেয়াই বন্ধ করে দেবে।
এদিকে রোমানিয়ায় লোক পাঠানো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে মুখরোচক বিজ্ঞাপন দেখা গেলেও কারা এসব বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বা আদৌ তাদের রোমানিয়ায় লোক পাঠানোর রিক্রুটিং লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এরপরও দালাল চক্রগুলো ফেসবুকে লোক পাঠানোর অভিনব প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে বলে জনশক্তি ব্যবসার সাথে জড়িতরা অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, এভাবে নাম সর্বস্ব ঠিকানা ব্যবহার করে অবৈধ লোক পাঠানোর ব্যবসা বন্ধ করতে না পারলেও সম্ভবনাময় শ্রমবাজারটি শুরুতেই হুমকির মধ্যেই পড়বে না, গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো না জেনে বুঝে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানোরও আশংকা রয়েছে। মোট কথা তারা পথে বসবে। এব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রনালয়ের টাস্কফোর্স থেকে দ্রুত এ প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত বলে সচেতন মহল মনে করছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন ব্যবসায়ী প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, আমরা যতটুকু শুনতে পাচ্ছি যারা বৈধ ভিসা নিয়ে রোমানিয়াতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শ্রমিক সিমান্ত পাড়ি দিয়ে পাশের দেশ গ্রীসে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে ইউরোপের দেশ ইতালীসহ অন্যান্য জায়গায় তারা দালাল ধরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিয়ম অনুযায়ী রোমানিয়ায় যাওয়ার পর কমপক্ষে ৩ বছর অবস্থান করা বাধ্যতামূলক। এরপর পিআর নিয়ে ইউরোপের যে কোন দেশে বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশী কর্মীদের।
এপ্রসঙ্গে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলীর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।