ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাপানের কোটি জনশক্তির ঘাটতি পূরনে সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ: সেমিনারে সিনিয়র সচিব এবার সাহাবউদ্দিন ভাইকে নমিনেশন দিলে ঢাকার ১২ আসন বিএনপির ঘরে উঠবে ফেসবুকে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশগামীদের সাথে প্রতারনা, টাস্কফোর্স নীরব আটাবের কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিলের সরকারী আদেশে হাইকোর্টের রুল নিস্পত্তি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে সরাসরি বিমান চলাচল নিয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এক বাংলাদেশী ইতালীর তীরে পৌছেন লাশ হয়ে বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন প্রধান স্থপতি মোশতাক আহমেদের পিতার মৃত্যুতে রাজউক চেয়ারম্যানের শোক আরবী ভাষায় দক্ষতা না থাকায় ৯৮% নারী কর্মী বিদেশে কাংখিত মজুরী পাচ্ছেন না মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত

জাপানের কোটি জনশক্তির ঘাটতি পূরনে সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ: সেমিনারে সিনিয়র সচিব

  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / 9
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক

 

 

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূইয়া।
গতকাল শুক্রবার জাপানের নাগোয়া শহরের এক মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ- জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
টোকিও’র বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যেগে এবং জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা (JITCO)’র সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে
প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরণের সহায়তা করবে।
সিনিয়র সচিব তার বক্তব্যে জাপান ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত তুলনা উপস্থাপন করে বলেন,, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে — এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (TTC) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে “জাপান সেল” গঠন করা হয়েছে। যা জাপানি শ্রমবাজারের জন্য সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া আশা প্রকাশ করে সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশের ও জাপানের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় উভয় দেশই উপকৃত হবে।
JITCO-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার পরিস্থিতি এবং জাপানের শ্রমবাজারের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী এবং জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ৪টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জাপানের কোটি জনশক্তির ঘাটতি পূরনে সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ: সেমিনারে সিনিয়র সচিব

আপডেট সময় : ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক

 

 

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূইয়া।
গতকাল শুক্রবার জাপানের নাগোয়া শহরের এক মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ- জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
টোকিও’র বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যেগে এবং জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা (JITCO)’র সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে
প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরণের সহায়তা করবে।
সিনিয়র সচিব তার বক্তব্যে জাপান ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত তুলনা উপস্থাপন করে বলেন,, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে — এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (TTC) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে “জাপান সেল” গঠন করা হয়েছে। যা জাপানি শ্রমবাজারের জন্য সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া আশা প্রকাশ করে সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশের ও জাপানের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় উভয় দেশই উপকৃত হবে।
JITCO-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার পরিস্থিতি এবং জাপানের শ্রমবাজারের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী এবং জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ৪টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।