‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা দিলেন মাসুদ আলম

- আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
- / 13
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসরের হাতে ৩শ কোটি টাকার প্রকল্প’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি দাবি করেন, উক্ত প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তথ্যভিত্তিহীন এবং মিথ্যাচারে পূর্ণ। এতে তার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রতিবাদলিপিতে মাসুদ আলম বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২৯৭ কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্পের দরপত্র সংক্রান্ত যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন না করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেশাগত কারণে তার পরিচয় থাকলেও, ব্যক্তিগত কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই। রিপোর্টে তাকে ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে চিত্রিত করাকে তিনি নিন্দনীয় ও মানহানিকর হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন না। বরং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের রাজনৈতিক প্রভাবেই তিনি পরাজিত হয়েছেন বলেও দাবি করেন।
প্রশিক্ষণ ফার্ম নির্বাচনে নিজ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে ব্যাখ্যায় মাসুদ আলম জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দৈনিক ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন শেষে তার প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’কে যোগ্য হিসেবে সুপারিশ করা হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এবং চূড়ান্তভাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের মাধ্যমেই তাদের প্রতিষ্ঠান চুক্তিপত্র পায়।
প্রতিবেদনে তার ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ খানের সৌদি আরব ভ্রমণের বিষয়টি উল্লেখ করাকে “কাকতালীয়” আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালনের সময় সৌদি আরবে অনেকের মতো আব্দুল হামিদ খানের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। তখন তিনি প্রকল্প পরিচালক ছিলেন না।
তিনি আরও জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যেসব সাবেক সচিবের আমলে তাদের প্রকল্প প্রাপ্তির অভিযোগ করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেই সময় তার প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের সরকারি প্রকল্পে সম্পৃক্ত ছিল না। এ ছাড়াও, তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলা এবং পুরস্কৃত হওয়ার বিষয়ে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিথ্যা ও তথ্যগতভাবে ভুল। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালে হলেও প্রতিবেদনে ২০২২-২৩ সালের কথা উল্লেখ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মাসুদ আলম আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং তাকে হুমকি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তার বক্তব্য দাবী করা হয়, এসব ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের মাধ্যমে তাকে হেয় করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না।
নিউজটি শেয়ার করুন
